বিনয় ভরদ্বাজ , অবতক খবর, ৬ই জুলাই :: মা-বাবাকে বাদ দিয়ে মৃত ছেলের স্ত্রীকে একমাত্র আইনে উত্তরাধিকারী মেনে শংসাপত্র দেন কল্যাণী 21 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রীমন্ত চক্রবর্তী। আর কাউন্সিলের এই পদক্ষেপকে বেআইনি বলে দাবি করে তার বিরুদ্ধে কল্যাণী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে করা ব্যবস্থার দাবি করেছেন মৃত ডাক্তার সাগ্নিক বিশ্বাসের বৃদ্ধ বাবা সুভাষ বিশ্বাস।

সুভাষ বাবুর দাবি তার ছেলে সাগ্নিক কে মৃত্যু অনেক আগে থেকেই তার তথাকথিত পুত্রবধূ সংঘমিত্রা ত্রিপাঠী সঙ্গে ডিভোর্সের মামলা চলছে। তাছাড়া ছেলের মৃত্যুতেও তার পুত্রবধু সংঘমিতা একবারের জন্যও তাদের দুয়ারে মুখ হন নি এখন জেক তিনি তার স্বামী মনে করছেন তিনি তার মৃত্যু খবর পেয়েও তার মুখ দেখতেও আসেননি। তাছাড়া হিন্দু রীতি ধর্ম মেনে কোন নিয়মও পালন করেননি। এমন অবস্থায় শুধুমাত্র তার পুত্রের সম্পত্তিও চাকরির বেনিফিট আর ইন্স্যুরেন্সের টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যেই সংঘমিতা দেবী নিজেকে একমাত্র উত্তরাধিকারী প্রমাণ করতে কল্যাণী 21 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সীমন্ত চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগসাজশ করে এই শংসাপত্র পাওয়ার চক্রান্ত করেছেন।

মৃত ডক্টর বিশ্বাসের বাবার সুভাষ বিশ্বাস জানান, যে মহিলা ছেলের সঙ্গে থাকলো না, সে তার ছেলের সঙ্গে ঘর করল না উল্টে ডিভোর্সের মামলা চলছে। সেই মহিলা এখন নিজেকে তার মারা যাওয়া পুত্রের, স্ত্রী দাবি করছেন ও একমাত্র উত্তরাধিকারী প্রমাণ করতে এই 21 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রীমন্ত চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগ সাজেশ করেছেন। সুভাষ বাবু আরো জানান এককাঠি আরো এগিয়ে সীমান্ত বাবু সংঘমিত্রা কে একমাত্র উত্তরাধিকারী ঘোষিত করার চেষ্টা করে শংসাপত্র দিয়েছেন তা জেনে যে সাগ্নিক আমাদের সঙ্গে অর্থাৎ বাবা মা এর সঙ্গে থাকে।

এই অভিযোগ সম্পর্কে 21 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রীমন্ত চক্রবর্তী কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান ডাক্টর সাগ্নিক বিশ্বাসের স্ত্রী সংঘ মিতা ত্রিবেদী 21 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি ডক্টর বিশ্বাসের স্ত্রী হিসেবে তার ম্যারেজ সার্টিফিকেট তাকে দেখিয়েছেন। আর তাই তার স্বামীর ডেট সার্টিফিকেট বের করার জন্য এবং অন্যান্য কাজের জন্য তিনি উত্তরাধিকারী হিসেবে সার্টিফিকেট চান, তাতেই তিনি সাহায্য করেছেন বলে স্বীকার করেন কাউন্সিলর। কাউন্সিলর শ্রীমন্ত বাবু জানান এতে কোনো অপরাধ তিনি করেননি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো জানান যে ডক্টর সাগ্নিক বিশ্বাস 16 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হলেও তার স্ত্রী সংঘমিত্রা ত্রিবেদী 21 নম্বর অর্থাৎ তার নিজের ওয়ার্ডের বাসিন্দা। জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুবাদে তার ওয়ার্ডের বাসিন্দা কে সাহায্য করা তার কাজ, তাই তিনি এই সাহায্য করেছেন। কাউন্সিলর আরো জানান ওয়ারিশান সার্টিফিকেট পৌরসভা দেয় তিনি দেন না তাই এতে কোন অপরাধ নেই।

শংসাপত্র মামলা নিয়ে কল্যাণী পৌরসভার চেয়ারম্যান বর্তমান পৌর প্রশাসক সুশীল তালুকদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এই সম্পর্কে তার এখন পর্যন্ত কিছুই জানা নেই । কোন পরিস্থিতিতে তিনি সার্টিফিকেট দিয়েছেন সেটাও মনে নেই বুঝে মন্তব্য করবেন, তার আগে কিছু জানানো সম্ভব নয় তার পক্ষে।

তবে 16 নম্বর ওয়ার্ড যেখানে ডক্টর বিশ্বাস বসবাস করতেন সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লক্ষ্মী ওরাও জানান তাকে না জানিয়ে এবং ডক্টর বিশ্বাসের সম্পর্কে কোনো খোঁজ খোঁজ খবর না নিয়ে 21 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এর সার্টিফিকেট দেওয়া একেবারে উচিত হয়নি। তাছাড়া তিনি না জেনেই এভাবে একমাত্র উত্তরাধিকারী সংঘমিত্রা ত্রিবেদী কে কিভাবে দাবি করেছেন ? 16 নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর লক্ষীদেবী আরো বলেন এতে টাকা-পয়সার লেনদেন এর গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ডক্টর বিশ্বাস সম্পত্তিও ইন্সুরেন্স চাকরি সমস্ত সুবিধা ও বেনিফিটের জন্য এই বেআইনী আঁতাত তৈরি করতে পারে সংঘমিত্রা ও কাউন্সিলর , তার তদন্ত হওয়া উচিত। লক্ষীদেবী আরও দাবি 16 নম্বর ওয়ার্ডের মামলায় হঠাৎ করে কেনই বা 21 নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর টপকে পড়লেন তাতে আর সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে অর্থাৎ ডাল মে কুচ কালা হয়।