অবতক খবর,১ অক্টোবর: গয়েশপুর ৯ নং ওয়ার্ড অ্যাকাডেমিক স্কুল সংলগ্ন অঞ্চলে বসবাস করেন সঙ্গীতা বসাক। অভিযোগ,তিনি বেআইনিভাবে সুদের ব্যবসা করেন। তিনি অসহায় এবং বিধবা মহিলাদের কিস্তিতে টাকা ধার দিতেন। ধার দেওয়া অর্থের ২০ শতাংশ করে সুদ তিনি নিতেন। সেইরকমই এক মহিলাকে তিনি ৩০ হাজার টাকা দিয়ে সুদ বাবদ আদায় করে নিয়েছেন ৬ হাজার টাকা। কিন্তু সেটিও শর্ত সাপেক্ষ। কারণ তিনি তারিখ এবং সময় নির্ধারণ করে দেন এবং ওই তারিখ এবং সময়ের মধ্যেই তাকে টাকা দিতে হবে। যদি না দেওয়া হয় তবে ৫ মিনিট দেরি হলেও সেই সুদ দ্বিগুণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ৬ হাজার টাকা সুদ দ্বিগুণ হয়ে ১২ হাজার হয়ে যায়। এদিকে ১২ হাজার এবং আসল ৩০ হাজার,মোট ৪২ হাজার টাকা। সুদ-আসল ফেরত দেওয়ার সময় তিনি নিতেন ৪৮ হাজার টাকা। এইভাবেই তিনি অসহায় মহিলাদের ঠকাতেন। এই জালিয়াতির জন্য সঙ্গীতা বসাকের বিরুদ্ধে কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

 

তিনি অসহায় মহিলাদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতেন।

ঠিক সেইরকমই কবিতা মালাকার নামে এক মহিলা তার থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। আর এখন তার সুদ দাঁড়িয়েছে ১১ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে ৫ লক্ষ টাকা তিনি দিয়ে দিয়েছেন। আর ৬ লক্ষ টাকা আদায়ের জন্য সঙ্গীতা বসাক রোজ ওই মহিলার উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। যার ফলে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

এই কবিতা মালাকার সমস্ত ঘটনা জানিয়ে কল্যাণী থানায় অভিযোগ করেছেন সঙ্গীতা বসাকের বিরুদ্ধে। কবিতা দেবীর স্বামী জানিয়েছেন যে,”এই সঙ্গীতা বসাক বেআইনিভাবে সুদের ব্যবসা করেন। আমি যেহেতু বাইরে থাকি তাই টাকা আদায়ের জন্য অন্যায়ভাবে সঙ্গীতা বসাক আমার স্ত্রীর উপর চাপ সৃষ্টি করছিল। যার কারণে সে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে।”

এইভাবেই দীর্ঘদিন ধরে সঙ্গীতা বসাক বেআইনিভাবে এই সুদের কারবার করে আসছিলেন।