নিজস্ব সংবাদদাতা :: অবতক খবর :: ১৩ই ডিসেম্বর :: বারাসাত :: খবর হাইকোর্ট এর নির্দেশ মানছে না রাজ্য অবশেষে পথে নামলো শিক্ষকেরা। সম্প্রতি পাশ্বশিক্ষকরা তাদের বেতন পরিকাঠামো নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল। দীর্ঘদিন অনাশনের পর সরকার পক্ষ তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে বেতন পরিকাঠামো নিয়ে সোচ্চার ছিল “বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন”(BGTA)।
ইতিমধ্যেই তারা হাইকোর্ট মামলা করে সদর্থক রায় পেয়েছেন বলে দাবি। তাদের অভিযোগ আদালত তাদের বাবিকে মান্যতা দিলেও রাজ্য সরকার তাদের যথার্থ সন্মান দিচ্ছে না। সেকারনের ছয় দফা দাবি নিয়ে শুক্রবার দুপুরে বারাসাত ১ নম্বর প্লাটফর্ম এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থা বিক্ষোভ পালনের পাশাপাশি দুপুর দেড়টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার ডি য়াই অফিসে স্মারক লিপি জমা দেন।
বিজিটিএ এর উত্তর ২৪ পরগনার সম্পাদক দীপ্ত কুমার লসকর জানান, শুধুমাত্র এই রাজ্যেই পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার ও ট্রেন্ড গ্র্যাজুয়েট টিচার দের কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির মেনে বেতন পরিকাঠামো ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের পূর্বের কিছু ভুল সিদ্ধান্তে জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।
তিনি বলেন আমাদের দাবী TGT স্কেল(trained graduate teacher scale – grade pay 4600 ও pay band 4) দেওয়ার যে রায় মহামান্য কোলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছেন তা অবিলম্বে 2006 থেকে চালু করতে হবে।এছাড়াও সরকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের মতো চাকুরী জীবনে তিনবার (8,16,25 y)প্রমোশন অর্থ্যাৎ CAS(কেরিয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট স্কীম)দিতে হবে।
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার (PGT)ও ট্রেন্ড গ্র্যাজুয়েট টিচার(TGT)এর প্রারম্ভিক বেতন ফারাক কোনমতেই 2700 টাকার বেশী করা যাবেনা। “CONTROL OF EXPENDITURE ACT 2005″অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। STAFF PATTERN এর নামে শিক্ষক দের কোনভাবেই প্রবঞ্চিত করা চলবে না। উপরোক্ত সমস্ত দাবীই রোপা 2016 তে মিটিয়ে দিতে হবে।।