অবতক খবর,২ অক্টোবর,বাঁকুড়াঃ- বিষ্ণুপুর পৌরসভার দুয়ারে আবর্জনার স্তুপ বললেন বাঁকুড়া জেলা কংগ্রেস , বিজেপির দাবি বিষ্ণুপুর পৌরসভা হচ্ছে দুর্নীতির আঁতুড়ঘর , বেতন বৃদ্ধি ও বোনাসের দাবিতে দুদিন ধরে কর্ম বিরতি এবং বিক্ষোভে সামিল বিষ্ণুপুর পৌরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের।

বেতন বৃদ্ধি ও বোনাসের দাবিতে কাজ বন্ধ রেখে বিষ্ণুপুর পৌরসভার সামনে বিক্ষোভে সামিল হলেন ৩৫০ জন অস্থায়ী সাফাই কর্মী। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতি এদিন দু’দিনে পড়লো। তারপরেও নিজেদের দাবিতে অনড় পৌরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা। ফলে শারদোৎসবের আগে প্রাচীণ এই পৌর শহর জঞ্জালের স্তুপে পরিনত হচ্ছে। সমস্যা বাড়ছে শহরবাসীর।

আন্দোলনকারীদের দাবি, মাত্র ৫ হাজার ৪০০ টাকার বিনিময়ে তারা সারা মাস কাজ করেন। আসন্ন শারদোৎসবে কোন বোনাস নেই। সামান্য ঐ টাকায় সংসার চালানো অসম্ভব। ফলে প্রতি মাসে অনেক টাকা ধার পড়ে যায়। বেতন বৃদ্ধি ও বোনাসের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি বলেই তাদের দাবি। সভায় কর্মীরা কাজ বন্ধ করায় মন্দির নগরী শহরের রাস্তায় জমেছে আবর্জনার স্তুপ ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ ভোগান্তির শিকার পুরবাসীরা।

বিষ্ণুপুর বাসী সিন্টু পরামানিক বলেন তিন-চারদিন কোন সাফাই কর্মী আসছে না , পৌরসভার সাফাই কর্মীরা কাজ না করলে আমরা সমস্যায় পড়ে যাব।

আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলি। কংগ্রেস নেতা দেবু চ্যাটার্জী শাসক দলকে কাটমনি ইস্যুতে আক্রমণ করে বলেন, এবার বিষ্ণুপুর পৌরসভার মানুষ ‘দুয়ারে জঞ্জার’ প্রকল্পের জন্য প্রস্তুত থাকুন।

বিষ্ণুপুর পুরসভা প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য গৌতম গোস্বামী বলেন যারা এই আন্দোলনটা করছে তারা পৌরসভার অস্থায়ী কর্মী। আমরা পৌর প্রশাসক মন্ডলীতে আসার পর দু’দফায় তাদের বেতন বেড়েছে বর্তমানে তারা 170 টাকা করে প্রতিদিন বেতন পান এবং সবেতনে একদিন ছুটি ও দেওয়া হয়েছে মানবিকতার স্বার্থে গতবছর তাদেরকে পুজোর আগে এক হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছিল এবং এবছর আরও 200 টাকা বাড়িয়ে বারোশো টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিনি বলেন এ বিষয়ে যারা আন্দোলন করছে তারা ঠিক কি কারণে আন্দোলন করছে জানা নেই তারা এখনো পর্যন্ত কোন লিখিত আকারে অভিযোগ জমা দেয়নি পৌরসভায় যে বা যারা আন্দোলন করুক না কেন তারা কোন রেজিস্টার ভুক্ত ইউনিয়ন নয়।