আমাদের এক সংবাদকর্মী পুরী বেড়াতে গিয়েছে। সমুদ্র তীরে এক বালিকাকে বেলুন বিক্রি করতে দেখে সে বিষণ্ণ হয়ে পড়েছে। ওইটুকু মেয়ে বেলুন বেচে দিন আনে দিন খায়! তাঁর অনুরোধে এই লেখা…
বেলুন বালিকা
তমাল সাহা
সমুদ্র বালিকা বালুকা তটে ঘোরে,
সূর্যের ঘন উত্তাপে শরীর গিয়েছে পুড়ে।
কালো কুচকুচে আবলুস তার রং,
কিন্তু তার হাতে বেলুন ওড়ে রঙ-বেরঙ।
বেলুন নেবেন! বেলুন!
অনেক রঙিন বেলুন আছে।
কোনটি নেবেন বলুন?
এইটুকু বালিকা বেলুন বেঁচে খায়,
চলমান ঢেউ আছড়ে পড়ে সমুদ্র পাড়ায়।
সমুদ্রগর্জনকে তুড়ি মেরে তার হকারি আওয়াজ দ্রুত ছুটে যায়।
বেলুন! বেলুন!
এই সামান্য উপার্জনে বেঁচে থাকা দায়।
দুচোখে বিষাদের ছায়া
ওর মুখে কে ফোটাবে হাসি?
অথচ হাতে ধরা বেলুন রাশিরাশি!
বেলুন নিয়ে খেলার বয়স
ওর যায়নি হারিয়ে।
বেলুন মানে পেট, বেলুন মানে পয়সা
ও বুঝে গেছে
এই বিশাল সমূদ্রতটে দাঁড়িয়ে।
আমি তাকে কাছে ডাকি,
তোর কাছে আছে কটা বেলুন?
সে বলে,ফুলিয়েছি মাত্র দশটি।
এ কটির পয়সা পেলেই
নিশ্চিন্ত আজ এই ছোট্ট পেটটি।
আমি বলি,দশটির দাম কত?
ও বলে, পঞ্চাশ টাকা।
ওর চোখ বড় হয়ে ওঠে,
চোখে যেন উজ্জ্বল রামধনু আঁকা।
সে বলে,সমুদ্রকে বড় ভালোবাসি।
সমুদ্র আছে বলেই আমি বেঁচে আছি।
সমুদ্র আছে বলেই চলে আমার সওদা।
সমুদ্র আর আমি দুইজনেই লড়ে যাই,
জীবন তো এমনই!
পৃথিবীতে আসার এই তো ফয়দা।