অবতক খবর , রাজীব মুখার্জী, হাওড়া। :: আর হাতে গোনা কয়েকটি দিন, তার পর দীর্ঘ এক বছরের প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে বাঙালির । মানুষের ছোট থেকে বড়ো হয়ে ওঠা জীবনের বিভিন্ন পর্যায় কেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই মণ্ডপে। সেখানকার পুজোর থিমের মধ্যেদিয়েই উঠে আসবে সেই গ্রাম বাংলা ও বাঙালি কৃষ্টির ছবি।
শরতের নীল আকাশ আর শিউলির গন্ধ যেন মায়ের আগমণ বার্তা দিচ্ছে। মা আসছে, সেই আনন্দেই মেতে উঠেছে সকলে। পাড়ায় পাড়ায় প্যান্ডেলে থিমের কাজ এখন চলছে জোরকদমে। এই সব কিছুই মায়ের আসার আগাম বার্তা যা বলে দিচ্ছে হাতে আর মাত্র কটা দিন তার পরেই মা আসবে স্বপরিবারে। আর সেই মাকে সালকিয়া ব্যায়াম সমিতি এবার তুলে ধরতে চলেছে। এবছর তাদের থিমে থাকছে জীবনের সহজ পাঠ। সেই জন্যই বাংলার সমাজ থেকে শুরু করে বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতি সব কিছুই গোটা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে তাদের এই পরিকল্পনা।
প্রতিবছরই এই পুজো কমিটিতে থাকে আকর্ষণীয় সব থিম। এই কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও এবছর সেখানে থাকছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি বিশেষ বার্তা। এবছর তাদের পুজো ১১ বছরে পা দিচ্ছে। ১১ বছর পুর্তি উপলক্ষে সেখানে এবছরও থাকছে বিশেষ চমক। এবছর সেখানে দেখা যাবে পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম বাংলার উঠোন পাশে কাশ ফুলের সমারোহ, তুলসী মণ্ডপ দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মণ্ডপ প্রাঙ্গনে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে নিত্যদিনের কাজ সম্পাদন কোথাও মাস্ক ব্যাবহারের অবশ্যিকতা এই সব কিছুই তুলে ধরা হয়েছে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে।
পাশাপাশি এই করোনা পরিস্থিতিতে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে কোথাও যেন বিষাদের ছায়া উদ্যোগতদের মুখে।
উমা আসবে মণ্ডপে কিন্তু মণ্ডপ থাকবে দর্শক হীন।এই প্রসঙ্গে ওই কমিটির সম্পাদক সমর জ্যোতি রায় জানান এই বছর তারা কোনো অনুদান ছাড়াই পুজো করছেন। ক্লাবের সদস্যেরা নিজেদের থেকে অর্থ দিয়ে এই পুজো করা হচ্ছে। গতকাল কলকাতা হাই কোর্ট যে রায়দান করেছে তাতে মানুষ মেনে নিলে তারা রাস্তায় বেরোবে না। কিন্তু এতে সংক্রমণ কতটা কমবে সেটা ভবিষ্যতে বোঝা যাবে বলেই দাবি করেন তিনি।
মূলত একটি গ্রাম ও জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে কে তারা উপস্থাপিত করেছেন তাদের মণ্ডপে। এর সাথে গ্রাম বাংলার শিল্প কে নানান শিল্প ভঙ্গিমায় তুলে ধরছেন তারা। তবে এই বছরে দর্শনার্থীদের কি ভাবে তারা নিয়ন্ত্রণ করবেন মণ্ডপের বাইরে সেই বিষয়ে চিন্তিত তারা।