অবতক খবর,২৫ জানুয়ারি: বীজপুর অঞ্চলজুড়ে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এখন জোর আলোচনা শুরু হয়ে গেছে যে, ব্যারাকপুর কর্পোরেশন হবে না পৃথকভাবেই পৌরসভাগুলি থাকবে। আসলে কর্পোরেশন বা মিউনিসিপ্যালিটি যাইহোক এর সঙ্গে রয়েছে ক্ষমতার সম্পর্ক। কারণ বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে যে রাজনীতি চলে তার সঙ্গে তো ক্ষমতা এবং অর্থকরী ব্যবস্থা জড়িত।
সোজা কথায় নিজের কামাই শিল্প জড়িত। ফলত সমস্ত নেতাদের মধ্যে একটা ধন্দ এবং দ্বন্দ্ব দেখা গিয়েছে যে কি হবে? যদি কর্পোরেশন হয় তবে আপাতভাবে এটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের হাতে চলে যাবে এবং সেই কর্পোরেশনের কাজকর্ম প্রক্রিয়া শুরু করতে করতে এক বছর লেগে যাবে। ২০২১ সাল এসে যাবে। ফলত কাউন্সিলরদের সমস্ত ক্ষমতায় চলে যাবে তাদের হাত থেকে। আর ক্ষমতা চলে যাওয়া মানেই নিজের অর্থকরী ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটা।
যদি পৌরসভাও হয় তবেও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিচ্ছে। কে প্রার্থীপদ পাবে, কে পাবে না ? কারণ বেশিরভাগ তৃণমূল নেতাই বিজেপির ছাদনাতলায় সাতপাক ঘুরে এসেছেন। ঘুরে এসে বিজেপিকে ডিভোর্স দিয়ে আবার তৃণমূলে চলে এসেছেন। সুতরাং তাদের গায়েওই ডিভোর্সের দাগ লেগে গিয়েছে। ফলত তারা উচ্চতম মহলের কাছে কোন চোখে আছেন তারা নিজেরাই বুঝতে পারছেন না। আরও তারা শুনতে পারছেন যে,এদের তো এক প্রস্থ কামাই হয়ে গিয়েছে।ইতিমধ্যে প্রশান্ত কুমার এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়ে গিয়েছে এরকম প্রমাণ পাওয়া গেছে তারা আর প্রার্থীপদ পাবেন না।
ফলত নতুন তরুণদের মুখ খোঁজা হচ্ছে। সূত্রে আরো জানা গেছে, তরুণদের মধ্যে লেখাপড়ায় যারা শিক্ষিত, অঞ্চলে যাদের সুপরিচয় রয়েছে তারাই সুযোগ পাবে। ফলত পুরাতন কাউন্সিলররা রীতিমতো ঘাবড়ে গিয়েছেন। তাদের মুখে অনেকটাই শোকের ছায়া দেখা যাচ্ছে। উচ্চতর মহল কোন দিকে যাচ্ছে তারাও ধরতে পারছেন না। তারা আমাদের অর্থাৎ সাংবাদিকদের কাছেই জানতে চাইছেন, কি হবে ভাই? কর্পোরেশন হবে না পৌরসভাই থাকবে? এইরকম একটি দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে কাঁচরাপাড়ার কাউন্সিলররা রয়েছেন।
অন্যদিকে যে নির্দেশ নামা এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যেভাবে আসন বন্টন হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে মহিলাদের প্রাধান্য রয়েছে। অনেক জায়গায় এসে সি- এস টি প্রার্থীর প্রাধান্য রয়েছে। ফলত এই কাউন্সিলররা রীতিমতো ঘাবড়ে গিয়েছেন যে তারা এই নিয়ম অনুযায়ী তাদের কেন্দ্রে দাঁড়াতে পারবেন না।
এখন তারা অপেক্ষা করে আছেন ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ বেলা পর্যন্ত। কারণ সূত্রের খবর তখনই পুরো নির্দেশনামা জারি হবে। তবে এই বিষয়ে সমস্ত আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন অবতক খবরে। কারণ এ বিষয়ে অবতক রীতিমতো নজরদারি রাখছে।