বিনয় ভরদ্বাজ , অবতক খবর, ২রা মে :: ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬টি তে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। আমডাঙ্গা, বিজপুর ,নৈহাটি, জগদ্দল , নোয়াপাড়া এবং ব্যারাকপুর সিট বিজেপি কে হারিয়ে জয়ী তৃণমূল। কেবলমাত্র ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন অর্জুন পুত্র ও বিজেপির প্রার্থী পবন সিং। অর্জুনের জন্য এই লড়াই ছিল ব্যাপক চ্যালেঞ্জিং, কারণ 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর তিনি ব্যারাকপুর লোকসভা জিতলেন ঠিকই কিন্তু তারপর থেকে একে একে ক্ষমতা তৃণমূল হাতে নিতে শুরু করে দেয় ক্ষমতা। ভাটপাড়া পৌরসভা তাদের দখল থেকে তৃণমূলের দখলে চলে যায়।

তাছাড়া এই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যেই ব্যাপক ধস নামে বিজেপিতে। একে একে অর্জুনের সঙ্গীরা তার সঙ্গ ত্যাগ করেন। ভাটপাড়া তৃণমূল প্রার্থী করে জিতেন্দ্র সাহ ওরফে জিতুকে। একেবারে সাধারণ ঘরের ছেলে,প্রত্যেকের কাছে ঘরের ছেলে, মহল্লার ছেলে বলে পরিচিত। ভাবা হয়েছিল সাউদে র ভোট সম্পূর্ণটাই তার দখলে যাবে কিন্তু তেমন হলো না তাছাড়া তৃণমূল সিনিয়র এলাকার নেতারা জিতুর বিরুদ্ধে কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।

নির্বাচনী রণকৌশল এর অভাবের জন্য হেরে গেলেন জিতু। পাবন সিং প্রায় 7 হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন। যদিও এই 2019 এ অর্জুন সিং বিধায়ক পদ ত্যাগ করার পর তার ছেলে পবন সিং বিজেপির থেকে প্রার্থী হন। অর্জুনের দক্ষতার সামনে হেরে যান দাপুটে তৃণমূল নেতা মদন মিত্র।

অর্জুন তখন মদন মিত্র কে বহিরাগত প্রার্থী বলে ভাটপাড়া মানুষের কাছে বার্তা দিতে সক্ষম হন ও মদন মিত্র প্রায় 30 হাজার ভোটে পরাজিত হন। এবার পবনের জয় খুব একটা সোজা ছিল না কিন্তু জিতুকে তিনি তৃণমূলের ভেতরেই অন্তর্ঘাত করে হারিয়ে দেন বলে বিজেপির ভেতরকার খবর।

তৃণমূলের প্রার্থী জিতেন্দ্র সাহ ওরফে জিতু নিজেও জানান যে নিজেদের লোকের অন্তর্ঘাতের শিকার হয়েছেন তিনি। তার দলেরই কিছু কাউন্সিলর নেতারা তার বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। জিতু জানান দল তাদের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই পদক্ষেপ নেবে।

সব মিলিয়ে ব্যারাকপুর এর সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ছুটিতে জিতেছে তৃণমূল কিন্তু ভাটপাড়া নিজের ঘর বলে পরিচিত এলাকাকে তার দখলে এবারও দেখে দিতে সক্ষম হয়েছেন অর্জুন।