অবতক খবর: পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি এড়াতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড় ও ক্যানিংয়ে। কমিশনের হাতে বর্তমানে রয়েছে ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ গত বুধবারই জেলায় জেলায় প্রয়োজন অনুযায়ী তা মোতায়েনও করা হয়েছে৷ কমিশনের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে এই বাহিনী প্রয়োজন ও পরিস্থিতি বুঝে ঠিকমতো ব্যবহার করা হয়৷
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগণায় এখনও পর্যন্ত বরাদ্দ ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বারুইপুর পুলিশ জেলার জন্যই মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই বারুইপুর পুলিশ জেলার মধ্যে ভাঙড়ের জন্যই ৭ থেকে ৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে।
আরও জানা গিয়েছে, ভাঙড়ের বেশিরভাগ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে৷ ফ্লাইং স্কোয়াডের মাধ্যমেও কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতায়াত করবে।ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে এক প্রস্থ বৈঠক হয়েছে বলেও কমিশন জানিয়েছে। মনোনয়ন পর্ব থেকে শিক্ষা নিয়েই ভাঙড় নিয়ে বাড়তি সতর্ক রাজ্য নির্বাচন কমিশন।ভাঙড়ের প্রত্যেকটি বুথেই নির্বাচন হবে। যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে একটি বা দুটি বুথ থাকবে সেখানে চারজন বা ৮ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হবে। ভাঙড়ের বেশিরভাগ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চায় কমিশন বলেই সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছিল এই ভাঙড় । বোমা, গুলির সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছিলেন তিনজন৷ অশান্তির নিষ্পত্তি চেয়ে নবান্নেও চলে গিয়েছিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি৷ পরে অশান্তির আশঙ্কায় নিজের জন্যেও নিরাপত্তা দাবি করেন তিনি৷ অন্যদিকে, ক্যানিংয়ে তৃণমূল এবং যুব তৃণমূলের সংঘর্ষেও তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় মনোনয়ন পর্বে৷ সব মিলিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণার এই দুই জায়গায় যাতে ভোটের দিনে কোনও রকম অশান্তি না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে আগে থেকেই তৈরি থাকতে চাইছে কমিশন৷