অবতক খবর,২৭ জানুয়ারি: গতকাল গেছে প্রজাতন্ত্র দিবস। প্রজাদের জন্য তন্ত্র। সাধারণের জন্য তন্ত্র। তাই একে বলা হয় প্রজাতন্ত্র বা সাধারণতন্ত্র দিবস। এই বছরের শুরুতেই শুরু হয়ে গেছে ক্রমাগত একের পর এক জুট মিল বন্ধ। বন্ধ হয়ে গেছে ওপারে নর্থ ব্রুক জুটমিল। এপারে নদীয়া জুটমিলজগদ্দল জুটমিল। বন্ধ হয়ে আছে ভাটপাড়া রিলায়েন্স জুটমিল।
জুটমিল বন্ধের প্রতিবাদে আজ পেটে দানাপানি নেই এই যে মজদুর,এরা কাঁকিনাড়া রেল অবরোধ করেছে। ২৩শে জানুয়ারি গিয়েছে নেতাজির জন্মদিন। তিনি কৃষক ও শ্রমিকদের জন্য আন্দোলন করেছিলেন। রাজ্য সরকার কেন্দ্র সরকার শ্রমজীবী মানুষদের জন্য কত কি করবেন, তারা বলছেন, তারা নেতাজির ট্যাবলো করছেন দেশপ্রেমের গান গাইছেন, নেতাজির নামে কত পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন তাও বলছেন। নেতাজি ট্যাবলো নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। তাঁর গ্রানাইট মূর্তি বসবে কিন্তু এই মূর্তি, এই ট্যাবলো কারা দেখবে? দেখবে তো দেশের মানুষ। তাদের পেটে যদি দানাপানি না থাকে,তাদের জীবন যদি অর্থনৈতিকভাবে দুর্গতি পূর্ণ হয়,তাহলে তারা যত বড়ই দেশপ্রেমিকের ট্যাবলো হোক, নেতাজির গ্রানাইটের মূর্তি কি দেখবে, না নিজের পেটের দিকে তাকাবে?
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে একের পর এক জুট মিল বন্ধ হয়ে চলেছে। কিন্তু রাষ্ট্রের,কি কেন্দ্র কি রাজ্য তারা যদি জনকল্যাণমূলক সংস্থা হয়,পরিষেবা দিতে চায় তবে মিল বন্ধ হচ্ছে কেন? জুটমিলের এই শ্রমিকরা এই ভাগওয়ালারা,এই বদলি শ্রমিকরা এতই হতাশাগ্রস্ত যে শেষ পর্যন্ত তারা সরাসরি লড়াইয়ে নেমে পড়েছে। তারা কাঁকিনাড়াতে রেল অবরোধ করছে। এটা পশ্চিমবঙ্গ কি অবস্থায় আছে শ্রমজীবী মানুষের অবস্থা কি তার পরিচয় দিচ্ছে।
অনেক শ্রী হচ্ছে,অনেক ভান্ডার হচ্ছে। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষদের কি হচ্ছে,সেই খবর রাখবে কে? আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষ যাদের জন্য নির্বাচন, যাদের পরিষেবা দেবার জন্য নির্বাচন সেই দিকে তাদের কোন নজর নেই।