অদ্ভুত এই দেশ! আজব এই দেশ! লে লে বাবু, ছ আনার এই দেশ। লক ডাউন চলছে। সব দোকান বন্ধ। কত বিধি নিষেধ,কড়াকড়ি! একটি দোকান মাত্র খোলা!
ভারত ভাণ্ডার
তমাল সাহা
লক ডাউনে সব বন্ধ,শুনশান।
ঘরে বসে আছি একা।
জানালা দিয়ে
এখন শুধু আকাশকে দেখা।
তোমার কাছেও যাই না আর,
সামাজিক শুধু নয়,
শারীরিক দূরত্বও রাখি।
নিরুপায় নিজেকে সরিয়ে রাখে
ঘরের প্রিয়তমা পাখি।
সব দোকানপাট বন্ধ।
খাদ্য সামগ্রী, ওষুধপত্তর–
কয়েকটি দোকান মাত্র খোলা।
একটি বিশাল দোকান দেখি,
সেখানে সব পুঁজিপতির মেলা।
সে দোকান যে কত বড়
কোনো মাপজোক নেই তার।
কতসব সম্পদ বিক্রি করে
ভারত মহাসাগর তীরে
বিশাল সে এক দোকানদার।
কয়লা খনি, বিমান বন্দর
জল জঙ্গল জমি, ডাকঘর–
এসব বহুমূল্য জিনিসপত্র
তার দোকানে আছে।
দেশি বিদেশি বাছা বাছা ক্রেতাসব
ঘোরে ফেরে আনাচে কানাচে।
ব্যাংক বেচে দেয় সে,
বেচে দেয় রেলপথ,কয়লাখনি
ডাকঘর, অস্ত্রাগার,পাহাড়।
লকডাউনে সব বন্ধ থাকে,
খোলা থাকে শুধু এই দোকান
এমন দুঃসাহস তাহার।
আসলে তার দোকান নয়,
এটা তোমার আমার দেশ।
জবরদস্তি সে বেচে দেয়
আমরা তাকিয়ে দেখি বেশ!
জিনিসপত্র ওজনে বিক্রি হয়,
বিক্রি হয় বিভিন্ন পরিমাপে।
দেশ বিক্রির দাঁড়িপাল্লা কোথায়
দেশকে ফেলবে তুমি কোন খাপে?
এত দর দিয়ে কেনে কারা,
তারা কোথাকার লোক?
আমরা সব জানি, দেখি,
বুক চাপড়াই
কত হা-হুতাশ শোক!
দেশ ভর্তি এত মানুষ!
একজন দেখিয়ে হিম্মত
বেচে দেবে সব,
আমরা কি কাপুরুষ?
প্রতিরোধ ও লড়াই শব্দ দুটি
সৃষ্টি হল কেন তবে?
রে মানুষ!
কতকাল সহ্য করবি তুই
এসব নিঃশব্দ নীরবে?