অবতক খবর: প্রত্যাশামতোই বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের সিনিয়র পুরুষ দলের প্রধান জাতীয় নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন অজিত আগারকর। মঙ্গলবার অর্থাৎ ৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর নাম ঘোষণা করে দিল বিসিসিআই।
চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে খালি রয়েছে প্রধান নির্বাচকের পদটি। এতদিন প্রধান নির্বাচককে ছাড়াই দল গঠন হচ্ছিল। শিব সুন্দর দাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। স্টিং অপারেশনে ফেঁসে গিয়ে পদ খোয়াতে হয়েছিল চেতন শর্মাকে। যারপর থেকে খালি ছিল পদ। অবশেষে এতদিন পর নতুন মুখ বসল। ফলে অজিত আগারকরের নেতৃত্বে আসন্ন এশিয়া কাপ ও ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দলের ঘোষণা করা হবে।
বিসিসিআই কর্তারা আগারকরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাঁর বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবও দেন। এতদিন বোর্ডের মুখ্য নির্বাচকের বেতন ছিল ১ কোটি টাকা বছরে। এবার সেটা বাড়তে চলেছে। আগারকর প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিশ্চিত চাকরি বুঝতে পেরেই দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এতদিন তিনি আইইপিএলের অন্যতম দল দিল্লি ক্যাপিটালসের সহকারি কোচ ছিলেন। ২০২০ সালেও তিনি নির্বাচকের পদের জন্য় আবেদন করেছিলেন, কিন্তু সেই সময় বোর্ড তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়।
ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার ও ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য প্রধান নির্বাচক হওয়ার জন্য এবার থেকে বিজ্ঞাপন, ধারাভাষ্য, কোচিং এগুলো করতে পারবেন না। ফলে সেখান থেকে তাঁর আয় বন্ধ হবে। এই কারণেই বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বোর্ডের পক্ষ থেকে। মুম্বই ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক আগারকর ২৬টি টেস্ট, ১৯১টি ওডিআই ও চারটে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তিনি ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে বিরাটদের নির্বাচক কমিটিতে রয়েছেন সুব্রত বন্দ্য়োপাধ্যায়, সলিল আনকোলা, শ্রীধরন শরৎ ও শিব সুন্দর দাস।
প্রধান নির্বাচক হতে গেলে তাঁকে কম করে ৭টা টেস্ট ম্যাচ, ৩০টা প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ অথবা ১০টা একদিনের ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে হবে। এর পাশাপাশি ২০টি প্রথমশ্রেণীর ম্যাচও খেলতে হবে। আবেদন করার ৫ বছর আগে তাঁকে ক্রিকেটারের পদ থেকে অবসর নিতে হবে। পাশাপাশি যেকোনও রাজ্য সংস্থায় ৫ বছর দায়িত্বে থাকতে হবে। এমএসকে প্রসাদের পর প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব সামলান চেতন শর্মা। দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো সামনে আসে।