অবতক খবর,সংবাদদাতা,ইসলামপুর,১৫ জুলাই :: পুরনো বিবাদের জেরে একে অপরের পক্ষে মামলা মোকদ্দমা চলাকালীনই বৃহস্পতিবার বিকেলে ফের ওই দুই পক্ষের মধ্যেই ভিটে বাড়ির জমির বিবাদ নিয়ে ফের উত্তাল হল রামগঞ্জ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দদগছ এলাকা। ঘটনার জেরে উভয় পক্ষের ১১ জন আহত হয়ে ইসলামপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসাধীন।এক পক্ষের এক পুরুষসহ ৬জন এবং অপরপক্ষের এক মহিলা সহ মোট ৫জন আহত হয়েছেন।তারমধ্যে এক পক্ষের এক গর্ভবতী মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে উন্নততর চিকিৎসার জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ওই গর্ভবতী মহিলা বর্তমানে ইসলামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দদগছ এলাকার নাঈমুল এবং তার পরিবার পরিজনের সঙ্গে ওই এলাকারই শফিল উদ্দিন এবং তার পরিবারের মধ্যে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে গত জুন মাস থেকেই বাগ্ বিতন্ডা এবং ঝামেলা লেগেই রয়েছে।ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছরের ১১ ই জুন থেকে।ঘটনার বাদী পক্ষ নাঈমুল হকের ১৪ই জুন রামগঞ্জ থানায় দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানা গেছে পুরনো বিবাদের জেরে ১৩ই জুন সফিল উদ্দিন এবং তার পরিবারের লোকেরা অতর্কিত তার বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর চালায় এবং মূল্যবান সামগ্রী সহ সোনাদানা ও নগদ ৩০ হাজার টাকা লুটপাট করে নেয়।
অপরদিকে সফিলুদ্দিনের পরিবার থেকেও একই রকম অভিযোগ নাঈমুলের পরিবারের বিরুদ্ধে রামগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করা হয়।এই ঘটনার মীমাংসা হতে না হতেই ফের ১৫ই জুন নাইমুলের স্ত্রী ধলাই খাতুন শফিলউদ্দিনের এক ছেলের বিরুদ্ধে তার অষ্টাদশী কিশোরী কন্যার শ্লীলতা হানির অভিযোগ এনে রামগঞ্জ ফাঁড়িতে এজাহার দায়ের করে।সমস্যা সমাধানের জন্য এলাকায় বেশ কয়েকবার পাড়া বৈঠক করা হয়।কিন্তু সমস্যার সুরাহা হয়নি পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশ দুই পরিবারের ওই দুই ছেলে মেয়ে দুজনকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।মেয়ের বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে ছাড়িয়ে নিলেও অভিযুক্ত শফিলুদ্দিনের ছেলের জেলে হেফাজত হয়।সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে ওই যুবক।এরপরই দুপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় আমিনের সহযোগিতায় জমির ভিটেমাটি মাপ যোগ করতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুই পক্ষ।চলে অস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি এবং পাথর ছোড়াছুড়ি।উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।নইমুল ও তার পরিবার পরিজন মারধরের পাশাপাশি বাড়ি লুটপাটের অভিযোগ করেছেন অপরদিকে জমির দখল নেয়াকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের জেরে অতর্কিতে হামলার ও লুটপাটের অভিযোগ করেছেন বিবাদী পক্ষের লোকেরা।ঘটনার খবর পেয়েই ইসলামপুর পুলিশ জেলার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক চন্দ্র মন্ডল।এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশি টহল চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।বারবার ওই দুটি পরিবারের মধ্যে গন্ডগোল বাঁধার জেরে তিতি বিরক্ত এলাকাবাসী।অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান চেয়েছেন তারা।
অপরদিকে বাদী এবং বিবাদী উভয় পক্ষই উদ্ভূত এই সমস্যার ইনসাফ চেয়ে প্রশাসনের মুখাপেক্ষী।এখন দেখার বিবাদমান দুই পক্ষের এই বিবাদ কবে কিভাবে মেটে।