অবতক খবর :: হুগলী ::  “পশ্চিমবঙ্গ এক কঠিন সময়ের মধ্যে অতিবাহিত করছে যাতে এই দুঃসময় থেকে বেরিয়ে আসতে পারে তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায। কিন্তু এই আপৎকালীন পরিস্থিতিতেও নোংরা রাজনৈতিক খেলায় নেমেছে বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি” বলে তীব্র অভিযোগ করলেন হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব এবং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী । আজ উত্তরপাড়ার নেতাজি ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এর তীব্র বিরোধিতা করে জানালেন,” এই বিপদ কালে যখন বাংলার মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছেন তখন বিজেপি নেতৃত্ব এই রাজ্যকে বদনাম করার উদ্দেশ্যে নোংরা রাজনীতির খেলায় মেতে উঠেছেন। তাদের উদ্দেশ্য ভুয়ো খবর ছড়িয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করা এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও বাংলার মানুষের আন্তরিক প্রচেষ্টাকে অপমান করা যারা করোনা ও আমফানের মত বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।

জেলা তৃণমূলের আরও অভিযোগ,” করোনা পরিস্থিতি নিয়ে যখন আমাদের রাজ্য প্রশংসনীয় ভাবে কাজ করে চলেছেন তখন তারা ভুয়া মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে দেশবাসীর সামনে বাংলাকে অপমান করার চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতারা।” এর পরই প্রত্যয়ের সুরে দিলীপ যাদব জানান,” বাংলার মানুষ এই সমস্ত অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে এবং তারা বিশ্বাস করেন না বিজেপির এই নোংরা খেলাকে।”

লকডাউন এর সময় বাংলার মানুষ যেভাবে ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছেন তা এক কথায় অনন্য অথচ বিজেপি এই লকডাউন এ সুযোগে নানা বিদ্বেষমূলক অপপ্রচার চালিয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের খেলায় মেতেছে । পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয় নিয়ে বিজেপি ক্রমান্বয়ে মিথ্যা প্রচার করে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে ভালোভাবে নিজেদের রাজ্যে ফিরে আসতে পারেন এবং তাদের যাতে স্বাস্থ্যের ব্যাপারে নজর দেওয়া হয় তা বলেছিলেন।অথচ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল প্রতিনিয়ত পশ্চিমবঙ্গকে নিশানা করে এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রচেষ্টার ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলে চলেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তাঁরা জানান,” পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে শ্রমিকদের স্ক্রিনিং করা ও পৃথকীকরণের কথা মাথায় রেখে একটি প্লান বানায় রাজ্য সরকার। ২৩৫ টির বেশি ট্রেনকে অনুমোদন দিয়ে রেল দপ্তরের কাছে সেই সিডিউল পাঠায় এবং অনুমতির জন্য রেল দপ্তরে কাছে আবেদন করে । তৃণমূল নেতা স্নেহাশিসবাবু জানান,” এই কঠিন সময়ের মধ্যে রাজ্যে যাতে কেউ ক্ষুধার্ত না থাকেন তার জন্যই রাজ্য সরকার যাদের রেশন কার্ড নেই তাদেরও রেশন দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছে। এই প্রয়াস শুধু তাই নয় আমাদের রাজ্যের উপর দিয়ে আমফানের জেরে লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এ রাজ্যকে দেওয়া হলো মাত্র হাজার কোটি টাকা এটা তো বঞ্চনা।” কার্যত হুশিয়ারির সুরেই তাঁরা বলেন,” আমরা বিশ্বাস করি আমাদের নেত্রী তথা বাংলার মানবিক মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার আপামর মানুষের পাশে যে ভাবে বিপদের দিনে পাশে দাঁড়িয়েছেন তাতে বিজেপির এই নোংরা অপপ্রচার থেকে দূরে থাকবেন।”