অবতক খবর: পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে অশান্তি এবং মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা।

পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত অশান্তি নিয়ে প্রধান বিচারপতির এজলাসে সওয়াল করে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘ধর্মাবতার শুভ সকাল। আমি মুর্শিদাবাদ থেকে এসেছি। আমার জেলা মুর্শিদাবাদ-সহ সারা রাজ্যে অশান্তি হচ্ছে। প্রতি দিনই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। পরিস্থিতি এমন যে, মৃতদের পরিবার জানে না কোথায় দেহ আনতে যেতে হবে।’’ মামলা দায়ের করার অনুমতিও চান তিনি। দুপুর ২টোয় দ্রুত শুনানির আর্জি করা হয়।প্রধান বিচারপতি জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘রাজ্যের পক্ষে কে আছেন?’’ অধীর বলেন, ‘‘মামলার কপি আমরা দিয়ে দেব।’’

এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনার মামলার কপি দিন। মামলার অনুমতি দিচ্ছি। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে খবর দিন।’’ ক্ষতিপূরণের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করেছেন অধীর। যত দ্রুত সম্ভব সকল পক্ষকে জানাতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি। এই মামলার শুনানি হবে, তার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। অধীর এজলাসে বলেন, ‘‘সব জায়গায় ভোটের দিন গরিব বা নিম্ন মধ্যবিত্তের ওপর আক্রমণ চলেছে। তাঁরা জানেন না কোথায় যেতে হবে। হাসপাতালে অনেকে যেতে পারেননি। কোথাও কোথাও প্রশাসন নিরুত্তর। সেই সব পরিবারের পক্ষ থেকে এসেছি। তাঁদের সাহায্য করা হোক।’’

পঞ্চায়েতে ভোটে হিংসার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছিল অধীরকে। পঞ্চায়েত ভোটে সংঘর্ষে নিহত কংগ্রেস কর্মীর পরিজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন, ‘‘একটা সিটে হারলেও আপনার মুখ্যমন্ত্রিত্ব যেত না।’’ মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের অস্ত্রোপচার নিয়েও কটাক্ষ করে অধীরের বলেন, ‘‘কয়েকটা সিটে হারলেও সরকার আপনারই থাকত। তা হলে এত খুন কেন?’’ কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, ‘‘১১ জুলাইয়ের (পঞ্চায়েত ভোটের ফলপ্রকাশের দিন) পর মুখ্যমন্ত্রীর পা ঠিক হয়ে যাবে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে (ভোটে হিংসা) নীরব থাকতেই উনি নাটক করেছেন।’’