অবতক খবর,২৮ এপ্রিল: কাঁচরাপাড়া এবং হালিশহর পৌরসভায় ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে জনসাধারণকে। এই দুই পৌরসভায় ভ্যাকসিন নেওয়ার লাইন ভোর ৫টা থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এত ভোর থেকে লাইন দেওয়া সত্ত্বেও বেশিরভাগ মানুষই ভ্যাকসিন না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন এবং পরদিন আবার ভোর থেকে গিয়ে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন।

আরো একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে পৌরসভায় ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষের মধ্যে। তারা বুঝে উঠতে পারছেন না যে কি কি কাগজপত্র নিয়ে আসতে হবে, পৌরসভার কার সাথে তারা এ বিষয়ে কথা বলবেন,কে তাদের সমস্ত বিষয়টি বুঝিয়ে বলবেন,তারা কোন লাইনে দাঁড়াবেন,এই সব বিষয় নিয়ে বিভ্রান্ত মানুষজন।

এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর পর পৌরসভা থেকে বলা হচ্ছে ভ্যাকসিন নেই অথবা আজ দেওয়া হবে না। তাই মানুষ এই তীব্র দাবদাহে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছেন।

ভোটের আগে যেমন দুয়ারে সরকার এসেছিল,ঠিক তেমনই যদি দুয়ারে অর্থাৎ বাড়ি বাড়ি ভ্যাকসিন পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হতো তবে মানুষকে এত ভোগান্তির শিকার হতে হত না।

অন্যদিকে ভ্যাকসিন নেওয়ার যে লাইন তাতে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা আরো বেশি। আরো দেখা যাচ্ছে যে, অঞ্চলের যারা প্রভাবশালী তারা এসে সরাসরি ঢুকে ভ্যাকসিন নিয়ে চলে যাচ্ছে, কিন্তু ভোর থেকে যারা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছেন তাদের বেশিরভাগই ফিরে যাচ্ছে খালি হাতে।
পৌরসভায় ভ্যাকসিনের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের এই প্রশ্ন করতে গেলেই তারা বলছেন যে, আমাদের আজকের কোটা পূরণ হয়ে গেছে,আজ আর ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না।

কিন্তু এই যে কোটার কথা তারা বলছেন,সেটিও পরিষ্কার নয় মানুষের কাছে। তাদের প্রতিদিনের কোটা কতগুলি, কতজনকে প্রতিদিন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে,সে বিষয়ে কিছুই বলছেন না তারা।
দুই পৌরসভার সামনে বিশৃঙ্খলা প্রতিদিন সৃষ্টি হচ্ছে, কিন্তু এর কোন সমাধান হচ্ছে না।

সাধারণ মানুষ বলছেন,আমরা করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন নেওয়ার লাইনে দাঁড়াচ্ছি, কিন্তু দিনের পর দিন খালি হাতে ফিরে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে পৌরসভায় মানুষের যা ভিড় হচ্ছে তাতে আমাদের সংক্রমণের ভয় আরো বেড়ে যাচ্ছে।
সরকারের উচিত এর একটা উপায় বের করে, বিষয়টি সুশৃঙ্খলে আনা। যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় এবং মানুষ ঠিকমতো ভ্যাকসিন পায়।