নিজস্ব প্রতিবেদক : অবতক খবর :    কবে পাবো ভ্যাকসিন? জেলার ভ্যাকসিন সেন্টারে দীর্ঘ লাইন, গরমে হাঁসফাঁস করছেন সাধারণ মানুষ। চূড়ান্ত অব্যাবস্থার অভিযোগ। বাড়ছে সংক্রমিত হওয়ার আতঙ্ক।

একদিকে গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ তার সাথে দোসর হয়েছে কোভিড – ১৯ সংক্রমনের আতঙ্ক। এই দুইয়ের জাঁতাকলে পরে নাভিশ্বাস ওঠার মতো অবস্থা সাধারণ মানুষের। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ রাজ্যে আছড়ে পড়ার পরে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি জেলায় শুরু হয়েছে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া। হাসপাতাল ও ভ্যাক্সিন দেওয়ার সেন্টারের সামনে লাইন দিতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। অনেক জায়গায় সকালে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য মাঝরাত থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অনেকে। চোখেমুখে সবারই আতঙ্কের ছাপ। বাংলায় দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজারের পাশাপাশি। ফলে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য লম্বা লাইন দিয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।

একই ছবি ধরা পরল হাওড়ার বিভিন্ন ভ্যাকসিন সেন্টারের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন অসংখ মানুষ। তাদের সকলেরই অভিযোগ ভ্যাকসিন দেওয়ার কোনো সঠিক পদ্ধতি নেই। রাত ১২ টা ১ টা থেকে মানুষ এসে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। তাতেও ভ্যাকসিন না পেয়ে তিন চার দিন ধরে ঘুরছেন। লাইনে উপস্থিত বয়স্ক মানুষ যারা তারাও ক্ষোভ উগরে দেন। তারাও অভিযোগ করে বলেন কোভিডের প্রথম ডোজ তাদের দেওয়া হয়েছে। এখন দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার নির্ধারিত তারিখ অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। অথচ এখনো তারা দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছেন না। এটাও আশঙ্কা করছেন তারা যে এভাবে চলতে থাকলে প্রথম ডোজের কার্যকারীতাও চলে যাবে। পাশাপাশি তাদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে। এভাবে ভ্যাকসিনের জন্য যদি রোজ ১৬-১৭ ঘন্টা ভিড়ের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাহলে তারাও কোভিডে সংক্রমিত হয়ে পড়বেন। তাদের দাবি আরোগ্য সেতু এপের মাধ্যমে যখন রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল সেখানেই তাদের কে ভ্যাকসিন দেওয়ার নির্দিষ্ট দিন জানিয়ে দেওয়া হোক। ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ সুপরিকল্পিতভাবে করা হোক। নাহলে ভ্যাকসিন নিতে এসে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্কে ভুগছেন সাধারণ মানুষ বিশেষ করে বয়স্করা। পাশাপাশি এতদিন ধরে যেখানে ১০০ জনকে প্রতিদিন ভ্যাকসিন দেওয়া হতো এখন তা ৮০ জনে এসে ঠেকেছে। রোজ রোজ কাজের জায়গা থেকে ছুটি নিয়ে এসে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েও ভ্যাকসিন না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে জনসাধারণকে।

যদিও এই প্রসঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে যেহেতু ভ্যাকসিনের সাপ্লাই কম তাই এই ধরণের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আর তাদের কাছে যে পরিমান ভ্যাকসিন রয়েছে তা দিয়ে আর কতদিন তারা চালাতে পারবেন তাও স্পষ্ট নয়।