অবতক খবর,১৪ জানুয়ারি,বাঁকুড়াঃ- নিরবিচ্ছিন্ন একমাসের টুসু আরাধণা শেষে এখন পৌষ সংক্রান্তিতে জাগরণ শেষে উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা। চলছে টুসু বিসর্জনের প্রস্তুতি। শুক্রবার উৎসবের শেষ দিনে বিষ্ণুপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় গিয়ে দেখা গেল টুসু পরবের আনন্দে মশগুল আট থেকে আশি সকলেই।
তবে এতো সবের মধ্যেও আধুনিক নগর সভ্যতার চাপে কমছে টুসুকে নিয়ে উন্মাদনা। মানছেন বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই। তার মধ্যেও প্রাচীণ এই ঐতিহ্যকে আজও ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এখানকার বাউরী সমাজের মানুষ।
টুসু জাগরণ শেষে এদিন রাত পোহাতেই ফুলমালা, রঙিন কাগজ সহযোগে সাজানো টুসুর প্রতীক চৌদলা বা টুসু মূর্তি নিয়ে মেয়েরা স্থানীয় পুকুরঘাটে উপস্থিত হয়েছেন।বিষাদের ছায়া পড়েছে উপস্থিত সকলের চোখে মুখে।
এর প্রতিফলন ঘটেছে গানের মাধ্যমে “যাছ্য যাছ্য যাছ্য টুসু/ফিরে দাঁড়াও আইগনাতে/সমবছরের মনের কথা/কই মা তোমার সাক্ষাৎ এ।” অশ্রুসজল নয়নে” জলে হেল জলে খেল /জলে তুমার কে আছে/ মনে করে দেখ টুসু/ জলে শ্বশুর ঘর আছে।”গাইতে গাইতে বিসর্জন দিলেন ‘প্রিয়’ টুসুকে। টুসু বিসর্জনের পর মকর চান সেরে চলে সই পাতানোর ধুম। এবার অপেক্ষা চলতে থাকে আবার পৌষ মাসের, আবার স্বচ্ছল দিনের, আবার তুষু বা টুসু পরবের। আবার মকরের।