অবতক খবর: মণিপুরে হিংসা-অশান্তির ইস্যুতে বিরোধী দলগুলির বিক্ষোভের জেরে বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনই মুলতুবি হয়ে গেল সংসদ। যা থেকে অনেকেই মনে করছেন মণিপুর নিয়ে বিরোধীদের সম্মিলিত বিক্ষোভের জেরে আগামী দিনগুলিতেও বানচাল হতে পারে সংসদের কাজ।
দুপুর ২টোয় সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই বিরোধী সাংসদেরা ‘মণিপুর মণিপুর’, ‘মণিপুর জ্বলছে’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। তাঁরা এই বিষয়ে সরকারের বক্তব্য জানতে চান। বিরোধী সাংসদদের বিক্ষোভের জেরে ২টোর কিছু সময় পরে সারা দিনের জন্য মুলতুবি করে দেওয়া হয় সংসদ।
এই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থাকে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, “সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তারা মণিপুর নিয়ে সংসদের দুই কক্ষেই আলোচনা করতে চায়।” তিনি এ-ও জানান যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট সংসদে পেশ করবেন। তবে কোন সময় এই রিপোর্ট পেশ করা হবে, তা লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা স্থির করবেন বলে জানান মন্ত্রী।
প্রথা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে অধিবেশনের শুরুতে সংসদের দুই কক্ষেই প্রয়াত সাংসদ আতিক আহমেদের শোকপ্রস্তাব পাঠের পর সভা কিছু সময়ের জন্য মুলতুবি করে দেওয়া হয়। দুপুর ২টো পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি করা হয়। রাজ্যসভা মুলতুবি করা হয় দুপুর ১২টা পর্যন্ত। ২৬৭ নম্বর ধারা নিয়ে বিতর্কের পর দুপুর ১২টা ১৭ মিনিট নাগাদ রাজ্যসভার কাজ দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি করে দেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়।
রাজ্যসভার ২৬৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা কিংবা বিতর্কের জন্য চেয়ারম্যানকে নোটিস দিতে পারেন কোনও সাংসদ। চেয়ারম্যান সেই নোটিস গ্রহণ করল উচ্চকক্ষের পূর্বনির্ধারিত সমস্ত কাজ সে দিনের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়। তার পরিবর্তে ওই নির্দিষ্ট বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন জানিয়েছেন, গত শীতকালীন অধিবেশন থেকে এই সংক্রান্ত একটি নোটিসও গ্রহণ করেননি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। ডেরেক জানান যে, বৃহস্পতিবারও ছ’টি নোটিস খারিজ করে দিয়েছেন ধনখড়।