অবতক খবর: সোমবার সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনে বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট হাউসের বাইরে এবং ভিতরে মণিপুর ইস্যুতে খড়গহস্ত। একই ছায়া এসে পড়ল এদিন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভাতেও । মণিপুর নিয়ে বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনতে চলেছে তৃণমূল। বিরোধী হীন ‘সর্বদল’ বৈঠকে নেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। পাল্টা পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে গলা চড়াচ্ছে বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা নিয়ে আনা হবে মুলতুবি প্রস্তাব। আলোচনা চেয়ে মঙ্গলবারই মুলতুবি প্রস্তাব আনছে বিজেপি।
জানা গিয়েছে, মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় আলোচনা হবে। সর্বদল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। তবে বয়ান কী হবে তা নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।এদিন অধিবেশন শুরুর আগে বিধানসভায় সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়। তৃণমূল ছাড়া বৈঠকে অংশ নেয়নি কোনও দল। বৈঠক বয়কট করে বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার সর্বদল বৈঠকে ছিলেন না একমাত্র আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পর থেকেই টানা বিধানসভা বয়কটের পথে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মাস ধরে হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর। এখনও পর্যন্ত শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ঘর ছাড়া প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এ নিয়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে নিষ্কৃয়তার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যেই সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ভিডিয়ো। তাঁদের গণধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
অন্যদিকে, মালদায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় এই মুহূর্তে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে রাতভর এসপি অফিস ঘেরাও চালায় বিজেপি। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অনুরাগ ঠাকুর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা। তবে মালদার ঘটনায় চুপ করে বসে নেই তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মণিপুর ঢাকতেই বাংলার তুলনা টানছে বিজেপি।’ দিল্লি থেকে কলকাতা হাউসের বাইরে এবং ভিতরে তৃণমূল আর বিজেপি এখন মুখোমুখি সংঘাতের পথে। আট মাস পর চব্বিশের মহারণ। আক্রমণ- পাল্টা আক্রমণে রাজনৈতিক তাপ আরও চড়বে তা বলাই চলে।