অবতক খবর,২৩ জুলাইঃ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী আজ সাংবাদিক বৈঠকে মনিপুরের জাতি দাঙ্গা নিয়ে বিজেপি সরকারকে এক হাত নিলেন। তিনি বলেন গত মে মাস থেকে তিন মাস হতে চলল মনিপুরের দাঙ্গায় অনেক মানুষ দৃঢ় হারা। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বললেন আপনারাই বলুন মনিপুরের মতো জাতি দাঙ্গা আর ভারতবর্ষে কোথায় হয়েছে।
তিনি বলেন এরা জাতি দাঙ্গা মানে তাই বুঝেনা এরা শুধু হিন্দু মুসলমান বুঝে কারণ এরা এই জিনিসটা করে তাই এরা হিন্দু মুসলমান বুঝে। তিনি বলেন এই জাতি দাঙ্গা আমরা ইউরোপের চেকোস্লোভাকিয়া তে , আফ্রিকাতে দেখেছি আজ তার প্রতিফলন দেখছি ভারতবর্ষের মণিপুরে। এই দাঙ্গাতে হাজার হাজার মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। কত যে মানুষ মারা গিয়েছে তার কোন হিসাব নেই। এবং তিনি বলেন একটা ভিডিওতে দেখা গেল নগ্ন করে দুই মহিলাকে হাঁটাতে হাঁটাতে নিয়ে গিয়ে আদিবাসী দুই মহিলাকে প্রকাশ্যে গণধর্ষণ করছে, তার ভিডিও যতক্ষণ পর্যন্ত বাজারে প্রকাশ পেয়েছে ততক্ষণ সেখানকার পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি শুধু তাই নয়।
তিনি এই বিষয়ে বিজেপি সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখেন আপনারা মনিপুরের এই গণধর্ষণকে কি প্রশ্রয় দেন না প্রশ্রয় দেন না যদি প্রশ্রয় না দেন তাহলে বলুন অপরাধী দের উপযুক্ত শাস্তি চাই। আর যদি সমর্থন করেন তাহলে উজোর তৈরি করুন ভারতবর্ষের কোন কোন রাজ্যে হয়। অধীর বলেন ভারতবর্ষের কোন রাজ্যে কি হয় তার তুলনা করার সময় এটা নয়। এখন সময় যে জাতি ডাঙ্গা মণিপুরে শুরু হয়েছে অবিলম্বে সেই জাতি ডাঙ্গা থামাতে হবে। না হলে এর প্রভাব অন্যদিকে পড়তে পারে। যেখানে যেখানে এই রূপ ঘটনা ঘটছে সেখানে অবিলম্বে করা ব্যবস্থা নেয়া হোক বললেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
অধীর বলেন এক নির্লজ্জ সরকারের এইরকম ব্যবহার দেখে আমি ব্যথিত। আজ একটা ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে তিনি বলেন আপনারা কি জানেন তার পরের দিন বাজারে আরেকটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। দুটো মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করে দেয়া হয়েছে এই ইম্ফলে। তার এখনও পর্যন্ত তদন্ত হয়নি কিন্তু সেই খবর প্রকাশ পেয়েছে বললেন অধীর চৌধুরী। অধীর বলেন এরকম কত ঘটনার ভিডিও প্রকাশ হয়নি তা ভেবে আমি আশঙ্কিত শিহরিত তবুও এই নির্লজ্জ সরকারের এ বিষয়ে কোন ভ্রক্ষেপ নাই। তিনি বলেন এটাকে ধামাচাপা দিয়ে রাজনীতি করা যেতে পারে কিন্তু দেশের ভালো কখনো করা যাবে না। ভারতবর্ষের যেখানেই নারী নির্যাতন হোক না কেন সব জায়গায় এর অ্যাকশন হোক তাই বলে মনিপুর থেকে ওটা কম ওটা থেকে মণিপুর বেশি এই তুল্য মূল্য ফারাক কেন করছেন।
তিনি বলেন, আজকে ভাবতে অবাক লাগছে এরা কি জনপ্রতিনিধি একজন জনপ্রতিনিধি তারা কি দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। তাদের কথা ভাবতে লজ্জা হচ্ছে, একজন জনপ্রতিনিধি কি করে ধর্ষণ কোথায় কম কোথায় বেশি তার বিচার করছে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী সেও বিচার করছে।