আবতক খবর নিউজ ব্যুরো ঃঃ ১৬ই,ডিসেম্বর ঃঃ একটি বিজ্ঞাপনী ভিডিও-র মাধ্যমে রাজ্যবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে মখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, নাগরিক সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা। তিনি সকলকে উত্তেজনা ছড়াতে বারণ করেছেন। পাশাপাশি তিনি এনআরসি ও ক্যাব বাংলায় হচ্ছে না বলেও দাবি করেন। ভিডিও বার্তার শেষে মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলেমিশে কোনও ভেদাভেদ না করে নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করি।
মমতার এই বিজ্ঞাপনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দল একথা বলতেই পারে। কিন্তু নির্বাচিত সরকারের প্রধান হিসেবে সরকারের টাকায় এই বিজ্ঞাপন করা যায় না। রাজধর্ম পালন করুন। সরকারের টাকায় তৈরি বিজ্ঞাপনে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রচার করবেন না। এটা অপরাধ, সংবিধান বিরোধী। রবিবার ওই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরামর্শ দিলেন রাজ্যপাল।রাজ্যপাল জানান, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করতেও বলেছেন।
উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ঘিরে বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের কিছু এলাকা। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট থেকে শুরু করা থেকে শুরু করে রাস্তা অবরোধ চলেছে লাগাতার। আর এরই মাঝে শান্তির বার্তা দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানোতর।
এদিন রাজভবনে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে জগদীপ ধনকড় বলেন, ‘একজন নির্বাচিত প্রশাসনিত প্রধান হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী যেটা প্রচার করছেন সেটা কার্যত অন্যায়। সংবিধান বিরোধী কাজ। সরকারি বিজ্ঞাপনে যা প্রচার করছেন তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন। জনগণের টাকায় এটা করা অপরাধ।’ এরপরই রাজধর্ম পালন করার বার্তা দিয়ে ধনকড়ের আবেদন, ‘যদি পরিস্থিতি সামলাতে না পারেন তাহলে সহায়তা চান, সংবিধানে এর উল্লেখ রয়েছে।’
এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনকে একহাত নিয়েছেন রাজ্যপাল। বলেছেন, ‘পুলিশকে আরও সক্রিয় হয়ে অশান্তি দমন করতে হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ‘পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে সহায়তা চান। সংবিধানে এর বিধান আছে। প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে নিজের কর্তব্য পালন করুন। এনআরসি-নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রচার করলে তা প্ররোচনার কাজ করবে। এটা অন্যায়, সংবিধান বিরোধী।’