অবতক খবর,১০ অক্টোবর: মনুষত্ব যে এখনো বেঁচে আছে তা আরো একবার প্রমান করলেন কাঁচরাপাড়ার দেশপ্রেমিক তথা সমাজসেবী চন্দন রায়। এই চন্দন রায় নামটি বীজপুরের মানুষের কাছে সুপরিচিত। কারণ তিনি নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য বারবার উঠে এসেছেন শিরোনামে। প্রকৃত দেশপ্রেমিক এবং দেশ ভক্তি কাকে বলে তা তাঁর কাছ থেকেই শেখা উচিত। লকডাউনে মানুষের সেবা করা থেকে শুরু করে ক্যান্সার আক্রান্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, এমনকি স্বাধীনতার পরের দিন জাতীয় পতাকার যাতে অবমাননা না হয় সেই কারণে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে পড়ে থাকা পতাকাগুলি সসম্মানে কুড়িয়ে তিনি সযত্নে রাখেন নিজের কাছে। শুধু এই কাজ নয়, তিনি যখনই দেখেন কোন মানুষ বিপদে পড়েছেন, তিনি তখন তাকে সাহায্য করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
এবার আসা যাক মূল কথায়। আজ দুপুর দুটো নাগাদ তিনি তার দোকানে কাজ করছিলেন। হঠাৎই একজন মাতাল তার কাছে একটি মোবাইল নিয়ে আসে এবং বিক্রি করার চেষ্টা করে। ওই মদ্যপ ব্যক্তি চন্দন রায়কে জানায় যে, সে রানাঘাট থেকে এই মোবাইলটি কুড়িয়ে পেয়েছে।
এরপর চন্দন রায় ওই মদ্যপ ব্যক্তিকে বলেন,”যারই মোবাইল হোক না কেন থানায় জমা দিয়ে দাও।”
কিন্তু ওই ব্যক্তি ফোন থানায় জমা দিতে নারাজ।
সেই সময় চন্দন রায় দেখেন ওই মোবাইলে ঘন ঘন ফোন আসছে। তিনি ফোনটা রিসিভ করেন এবং কথা বলার পর জানতে পারেন মোবাইলটি কাঁচরাপাড়া গুরুদুয়ারা রোডের বাসিন্দা এক যুবকের। তিনি যুবককে ঠিকানা দিয়ে তাঁর দোকানে আসতে বলেন এবং উপযুক্ত প্রমাণ সহকারে মোবাইলটি ওই যুবককে ফিরিয়ে দেন।”
সত্যিই!! মানবতা যে এখনো বেঁচে রয়েছে তা আজ আবারো প্রমাণ করলেন কাঁচরাপাড়ার সমাজসেবী চন্দন রায়।