অবতক খবর,৭ মে,ব্যারাকপুর : নববারাকপুরের স্রষ্টা কর্মবীর হরিপদ বিশ্বাস ।উদ্বাস্তু কলোনী আধুনিক শহরে পরিনত হয়েছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নিউ বারাকপুরে শিক্ষা দীক্ষায় বহু ছেলে মেয়ে শহরের মুখ উজ্জ্বল করেছে। মাধ্যমিকে নিউ বারাকপুর মধ্যমগ্রাম দমদম এলাকায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপক সায়ন মজুমদার শুধু নিউ বারাকপুর নয় জেলা তথা বাংলার গর্ব। মেধা তালিকায় প্রাপ্ত নম্বর থেকে মাত্র ১৩ নাম্বার কম। মাধ্যমিকে নিউ বারাকপুরে সর্বোচ্চ নম্বর (৬৭১) প্রাপক পুরসভার ১৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সায়ন মজুমদার কে সোমবার সন্ধ্যায় তার বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় ও উৎসাহিত করেন পুরসভার চেয়ারম্যান প্রবীর সাহা, ভাইস চেয়ারম্যান স্বপ্না বিশ্বাস, স্থানীয় পুর প্রতিনিধি নিখিল মালো, নীতা দে, সমাজসেবী অসীম দাস সহ এক ঝাঁক কাউন্সিলররা।সায়নের হাতে ফুলের তোড়া, রবীন্দ্রনাথের মঞ্জরী গল্প গুচ্ছ বই মিষ্টির প্যাকেট তুলে দিয়ে সংবর্ধিত করেন চেয়ারম্যান সহ কাউন্সিলর গন।
পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন নিউ বারাকপুরের মাধ্যমিকে প্রায় ৯৬ শতাংশ নম্বর (৬৭১)নম্বর পেয়েছে। মধ্যমগ্রাম বয়েজ হাই স্কুলের ছাত্র।শহরের তথা বাংলার গর্ব।মুখ উজ্জ্বল করেছে। তার এই বিরাট সফলতায় তাকে সংবর্ধিত করতে পেরে নিজেরা গৌরবান্বিত হলাম।তার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান সায়ন জানান এই সাফল্যে খুশি হলেও আর একটু বেশি আশা করেছিলাম। সফলতার পিছনে প্রথমেই বাবা মায়ের অবদানের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও গৃহ শিক্ষক দের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। ছোট বেলা থেকে পড়াশোনায় মেধাবী।প্রায় সব শ্রেণীতে প্রথম বিভাগে পাশ। প্রিয় বিষয় অংক। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ও সাহিত্যিক বিভূতি ভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্পের বই পড়তে ভালো লাগে। পিওর সায়েন্স নিয়ে পড়তে চায়। ভবিষ্যতে অল ইন্ডিয়া জয়েন্ট এন্টার্স পরীক্ষায় বসে আইআইটি ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়।ফুটবল খেলা তার নেশা। প্রিয় খেলোয়াড় মেসি। ছোট বেলা থেকেই সাঁতার জলে সন্তরণে পটু।বিভিন্ন জায়গায় খেলাধুলায় অসংখ্য মেডেল ট্রফি তার ঝুলিতে।বাবা পেশায় গাড়ির ব্যবসা।মা গৃহবধূ।বাংলা ইংরেজি অংক সহ অন্যান্য সব বিষয়ে ৯০ এর উপরে। জীবন বিঞ্জানে ১০০ পেয়েছেন সায়ন।সায়নের বাবা মা বলেন ছেলের এই সাফল্যে খুশি। সে নিজেকে নিজের মতো করে নিয়েছিল।
আগামীতে মানুষের মত মানুষ হতে পারে এই প্রার্থনা করি।সায়নের বিরাট সফলতায় এলাকার জনপ্রতিনিধি থেকে আত্মীয় স্বজন পড়শিরা বেজায় খুশি ও আনন্দিত।