অবতক খবর,৩ জানুয়ারি,মালদা:- বিহার থেকে এসে ভুয়ো পুলিশ সেজে মানবাধিকার কমিশনের স্টিকার লাগানো গাড়ি নিয়ে মাঝ রাতে পণ্য বোঝাই লরি থেকে অবৈধ ভাবে টাকা তোলার অভিযোগ উঠল চারজন যুবকের বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে ১ যুবককে হাতে নাতে পাকড়াও করল এলাকাবাসী। ধৃত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার খোপাকাঠি চিকনা মোড় এলাকায়। ধৃত যুবকের নাম সুমিত কুমার (২৯)। ধৃত যুবকের বাড়ি বিহার রাজ্যের কাঠিয়ার জেলার দেহারিয়া লক্ষীটোলা এলাকায়। তাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বেশ কয়েকদিন ধরেই চারজন যুবক মানবাধিকার কমিশনের স্টিকার লাগানো গাড়ি নিয়ে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে রাত্রে বেলা রাস্তা দিয়ে যাওয়া পণ্য বোঝাই গাড়ি থেকে অবৈধ ভাবে টাকা তুলত। সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। তারপরেই তারা একজন যুবক কে হাতে নাতে ধরে, বাকি তিনজন যুবক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ধৃত ব্যক্তিকে তারা আটক করে।
বাকি তিনজন গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে জানা যাচ্ছে। তাদের খোঁজে সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে সকাল বেলা এসে পৌঁছয় ইসলামপুর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জাকির হোসেন। জানা যায় মূলত ঘটনার সূত্রপাত রাত্রি দুটোর সময়। এই এলাকা দিয়ে প্রত্যহ অনেক ইরিগেশন বিভাগের ছায় বোঝায় লড়ি যায়। প্রায় প্রত্যেক দিনের মতোই এই চারজন যুবক পুলিশ পরিচয় নিয়ে এলাকায় ঢুকে এবং অবৈধ ভাবে টাকা তোলা শুরু করে। এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। সকাল হতেই তারা পাকড়াও করে একজন যুবক কে। বাকি তিনজন সেই গাড়ি করেই পালিয়ে যায়।
তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার স্বামী জাকির হোসেন বলেন,” আমি সকাল বেলা খবর পাই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই বিহার থেকে এসে এই কুকর্ম তারা চালাচ্ছিল। গ্রামবাসীদের সচেতনতায় এক জন ধরা পড়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করব এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে তারা কঠোর ভাবে নজর দেয়।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানিয়েছেন,ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সমগ্র ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত অনুযায়ী উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে পুলিশ।