অবতক খবর,২২ জানুয়ারি: মানসিক ভারসাম্যহীন বছর ২৭ এর এক বিবাহিত মহিলাকে তার পরিবারের হাতে তুলে দিল উত্তর ২৪ পরগনা এর পেট্রাপোল থানার পুলিশ। মানসিক ভারসাম্যহীন পার্বতী দেবীকে পেট্রাপোল থানার নরহরিপুর ঠাকুরতলা এলাকার কয়েকজন ঐ এলাকার একটি দূর্গা মন্দিরে দেখতে পান। দুদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ঐ মহিলা সেখানেই রয়েছেন এটা দেখার পর সন্দেহ হয় তাদের। তারপর নরহরিপুর হঠাৎ সংঘের সদস্যরা এ মহিলার সাথে কথা বলার বুঝতে পারেন তিনি মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত।
ক্লাব সূত্রে জানা গেছে পার্বতী দেবীকে তারা নিজেদের উদ্যোগে পাশেই মায়া বিশ্বাস নামে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে রেখে প্রশাসনকে গোটা ঘটনাটা জানায় তারা। প্রশাসন হ্যাম রেডিওর মাধ্যমে পার্বতী দেবীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়। তারপর আজ প্রশাসনের আধিকারিকরা ঐ মহিলার পরিবারের হাতে তাকে তুলে দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মানসিক ভারসাম্যহীন ঐ মহিলা বিহারের পূর্নিয়া জেলার বাসিন্দা, নাম পার্বতী দেবী এবং তার স্বামীর নাম সন্তোষ কুমার।ওই মহিলা মাঝেমধ্যেই শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। বাপের বাড়ি মূরলিগঞ্জ এলাকায়।ট্রেনের মাধ্যমে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে যাতায়াত করতো। সেই সময় তিনি ভুলবশত অন্য ট্রেনে উঠে পড়ে। তারপর ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নরহরিপুর ঠাকুর তলা এলাকায় একটি দুর্গামন্দিরে ওই অঞ্চলের স্থানীয়রা 16 জানুয়ারি থেকে দেখতে পান।
তারপর তারা প্রশাসনকে খবর দেয়। প্রশাসন হ্যাম রেডিওর সহায়তায় আমার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়। তারপর আজ পেট্রাপোল থানা থেকে বনগাঁ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অশেষ বিক্রম দস্তিদার এর উপস্থিতিতে তাকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়।