অবতক খবর,৩০ মার্চ,মলয় দে,নদীয়া:- নদীয়ার কৃষ্ণনগর পালপাড়া মোড়ের কাছে একটি মোটরসাইকেল শোরুমে বন্ধুদের নিয়ে হাজির নদীয়ার ই ভীমপুর গোবরাপোতা মাছ বাজার এলাকায় বসবাসকারী যুবক রাকেশ পাঁড়ে। পছন্দমত স্কুটির দাম 70,000 টাকা যা সম্পূর্ণ খুচরো কয়েনে দিতে চায় ওই যুবক।
শোরুম ম্যানেজার থেকে সরাসরি মালিক ফোনাফুনি হয় বেশ খানিকটা সময়। এক টাকার কয়েন দোকানদার বাধ্য এইরকমই নানা সরকারি নিয়ম-নীতির কথা জেনেই হয়তো শেষমেষ রাজি হয়েছিলেন মালিক। এরপরে বস্তা করে নিয়ে আসা সেই কয়েন ফ্লোরের মেঝে তে ঢেলে গুনে টাকার অংক বুঝে নিতে শোরুমের বেশ কয়েকজন কর্মীদের গলদঘর্ম।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, রাকেশের বাবা ভুল্লুর পাঁড়ে স্ত্রী ধুলু পাঁড়ে, এবং দুই ছেলে রেখে মারা যান বহুদিন আগে। তারপর থেকে সংসার চালানোর খরচ জোগাড় করতে ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিতে হয় মা কে। পাঁচ টাকা দশ টাকা দুই টাকা সংসার হবে যে লেগে যেত সঞ্চয় বলতে এক টাকার কয়েন। রাকেশ ছোটো, বড় ছেলে বিবাহ করে থাকে শ্বশুর বাড়িতেই তাঁর সাথে বিশেষ কোন যোগাযোগ নেই।
তবে রাকেশ মায়ের অত্যন্ত আদরের, কলকাতায় লোহার তৈরি জিনিসপত্রের দোকানে কাজ করে। স্বল্প উপার্জনের মোটরসাইকেলের শখ কোনদিন পূরণ হবে না জানায় মাকে। ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে মায়ের এপর্যন্ত জমানো দু বস্তা 1 টাকার কয়েন তুলে দেন তিনি। যদিও কিছুটা লজ্জিত হয়েই রাকেশ জানায় মায়েরও ইচ্ছে ছিল একটি স্কুটি আলো করে থাকুক আমাদের ভাঙ্গা ঘরে।