চলো যাই দেখে আসি প্রবীণাদের রমণীয় মুখ।এইসব আমার মায়েদের মুখ। চলো যাই শাহিনবাগ চত্বরে।
১৭ দিন পার হয়ে গেছে তারা অবস্থানে।মায়েরা লড়ে যায় শীতকে তুড়ি মেরে। নাগরিক মায়েরা, চলো দেখি কেমন করে লড়ে।
মায়েদের মুখ
তমাল সাহা
দেশই তো মা
আমি দেখি অসংখ্য মায়ের মুখ।
প্রজন্মের দিকে চেয়ে আছে
ভীষণ কাতর উন্মুখ।
এই দেশে মায়েদের শেষ আছে?
মায়েরা হয় না নিঃশেষ…
মায়েরা রাস্তায় অবস্থানে রণবেশ।
রাষ্ট্রের আছে বুলেট বন্দুক কামান
মায়েদের একটাই অস্ত্র — স্লোগান।
দিন যায় রাত যায়
শীত নিজে কাঁথা মুড়ি দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে।
হতবাক মায়েদের দেখে
মায়েরা অপূর্ব বিস্ময়ে দুর্গ গড়ে
দিল্লির শাহিনবাগ চত্বরে।
মায়েদের হিম্মত বড়,
সূর্য দেখে।
মায়েরা জেহাদি প্রশ্ন করে
কিসের কাগজ,
কোন কাগজ দেখাবো তোকে?
তুই কে?
কেটে গেছে অতি প্রাচীন কাল
ভারত মহাসাগরীয় জল বায়ু রোদ
মেখেছি সকাল বিকাল।
এই পেট ভরেছে ভারত মৃত্তিকার শস্যদানায়
দিয়েছি শ্রম এই মাটির কলে কারখানায়
পাথর কয়লা খনি খাদানে।
আর তুই পরিচয় জানতে চাস!
বুঝিনা এর মানে।
গড়েছি নিজে হাতে ভারতীয় সভ্যতা।
ইতিহাস বলে, ভিন্টসেন্ট স্মিথ বলে,
বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যই ভারতীয় গর্ব।
কে তূই করতে চাস এই ঐতিহ্য খর্ব!
তোর কাছে দেবোনা, দেবোনা কোনো দস্তখত
দেখি কী করতে পারিস তুই?
দেখি তোর কত তাকত আর
আমাদের কত হিম্মত?