অবতক খবর, ১৬ ফেব্রুয়ারিঃ ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ডে ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড, দিল বাংলাদেশের আদালত। আরেক অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিশেষ আদালতে ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যা মামলার শুনানি হয়। অভিযুক্তদের আদালতে নিয়ে আসার সময় নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল ঢাকার আদালত চত্বর।

ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ এক ট্রাইব্যুনালে আজ এই রায় দেয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, তথাকথিত আনসার আল ইসলাম জঙ্গি সংগঠনের সদস্য আকরাম হোসেন, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হোসেন ও আরাফাত রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মামলায় ছয়জন অভিযুক্ত ছিলেন, যাদের মধ্যে দুইজন মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন পলাতক রয়েছেন।

অভিযুক্তদের সাথে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’-এর সম্পৃক্ততা ছিল বলে এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল।

২০১৫ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলায় স্ত্রীর সাথে বেড়াতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়।

মেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে তার ওপর প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালানো হয়।

হাসপাতালে নেবার পর সেই রাতেই মারা যান অভিজিৎ রায়। হামলায় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও গুরুতর আহত হন।

অভিজিৎ রায় সমমনা কয়েকজন লেখকের সাথে মুক্তমনা নামে লেখালেখির একটি ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বিজ্ঞান, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, ধর্ম, ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি করতেন।

তার লেখার বিষয়বস্তুর জন্য ইসলামপন্থীদের দ্বারা বিশেষভাবে সমালোচিত ছিলেন অভিজিৎ রায়।

অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন একই বছর জঙ্গি হামলায় নিহত হন। মাত্র গত সপ্তাহেই ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যার দায়ে আট জনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে।