অবতক খবর,১২ জানুয়ারি: সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারপরেও গোয়া সফর বাতিল করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিদিন দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। করোনা রুখতে বহু বিধি-নিষেধ চালু করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক, ধর্মীয় জমায়েত, সমাবেশ করতে নিষেধ করছেন চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা।
এই পরিস্থিতিতে তাই নির্বাচন থাকলেও চারদিনের গোয়া সফর বাতিল করলেন অভিষেক। একদিন আগেই তার নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারে প্রশাসনিক বৈঠকে অভিষেক বলেন, আগামী দুই মাস সমস্ত ধরনের রাজনৈতিক, ধর্মীয় সমাবেশ বন্ধ রাখতে হবে। তার নিজের সংসদীয় এলাকায় যাতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায়, সেই কারণে সেখানে সমস্ত কোভিড বিধি লাগু করার জন্য আবেদন জানান।
সেই সময়ে তাকে নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশ্ন করলে অভিষেক বলেন, আগামী দুই মাস সবকিছুই বন্ধ করা প্রয়োজন। নির্বাচন হাইকোর্টের নির্দেশে হচ্ছে। আমি আমার ব্যক্তিগত মত আপনাদের জানাতে পারি।সবকিছুই বন্ধ করা উচিত। ঊর্ধ্বগামী করোনা সংক্রমনের মধ্যে পুরভোট বন্ধ করার পক্ষে বক্তব্য পেশ করতে থাকে রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। সেরকম একটা পরিস্থিতিতে অভিষেকের এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়।
নবান্ন দখল করার পর দেশজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে অন্যতম প্রধান শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে উঠে আসছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে বিজেপিকে সরিয়ে দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্যে দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলোতেও সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি করছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, মনিপুর সহ একাধিক রাজ্যে রাজনৈতিক কার্যকলাপ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি গোয়াতেও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়া হয়েছে।
গোয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। এবারের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে গোয়া যে অন্যতম টার্গেট তৃণমূলের, সেটা দীর্ঘদিন ধরেই স্পষ্ট হচ্ছিল। দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই যেকোনো ধরনের সমাবেশ জমায়েতের সঙ্গে নির্বাচন করা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠে যায়। অভিষেকের বক্তব্যকে সমর্থন জানান বিশিষ্ট চিকিৎসক কুনাল সরকার। তাই নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ হওয়ার পরেও গোয়া সফর বাতিল করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।