অবতক খবর,১৮ ডিসেম্বরঃ ১৬ নম্বর বরোর বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন কলকাতার মেয়র, পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ববি হাকিম। চলতি পথে দেখেন রাবিশ ভর্তি লরি যাচ্ছে। তিনি কনভয় থেকে নেমে পড়েন মাজেরহাট ব্রিজের উপরে।

জানতে পারেন ওই গাড়িটি যাচ্ছে ময়নাগরের দিকে।
তিনি ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্টকে বলেন, আপনারা থাকতে এসব লরি রাবিশ নিয়ে কোথায় যাচ্ছে, আটকাতে পারেন না? তিনি বলেন, একটি লরি নিজের চোখে দেখলাম আরো চার-পাঁচটা লরির নম্বর টুকে নিয়েছি। আর লরিগুলো ১৫ বছরের পুরনো লড়ঝড়ে গাড়ি। এগুলো শহরে চলে কি করে? তিনি অনুমান করে বলেন, জলাশয় ভর্তির জন্য এই লরিগুলি রাবিশ নিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি সময়মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাবেন। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে..।
রাবিশ আটকালেন, লড়ঝড়ে লরির যাতা যাতায়াত বন্ধ করলেন মন্ত্রী মশাই কিন্তু জলাশয় ভরাট বন্ধ করার দায়িত্ব নেবে কে? সে ব্যাপারে তো কিছু বললেন না! আপনার ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা তো জানে কোথায় কোথায় জলাশয় ভরাট হচ্ছে। আপনি সে ব্যাপারে একবারএলাকার মানুষদের থানা প্রশাসনকে জানাতে বলেছিলেন। কার ঘাড়ে কটা মাথা আছে যে তারা নিজে উদ্যোগে এই বিষয়টি থানার গোচরে আনবে? এসব তো আপনার কাউন্সিলররা জানে, তারাই তো বন্ধ করতে পারে। পুকুর ভরাট বন্ধ করলেই তো রাবিশ ভর্তি এইসব বাতিলযোগ্য গাড়ি আর পথে দেখা যাবে না।
পরিবেশ দূষণ নিয়ে বললেন অনেক কথা কিন্তু জলাশয় ভরাটের নজরদারি করবে কে?
আপনি বলেছেন, একা লড়াই করা যায় না। তো পুলিশ প্রশাসন মন্ত্রী কাউন্সিলর দল সমর্থক সদস্যরা রয়েছে একা একা লড়াইয়ের তো কোন প্রশ্নই ওঠে না!