বিনয় ভরদ্বাজ , অবতক খবর, ১লা মে,২০ :: ফের রাজ্যে করোনা আক্রান্ত মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলো এবার রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানালেন যে বুধবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা 22 জন থাকলেও বেস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের জানান কোন রাজ্যে করোনা মৃত্যু হয়েছে 33 জনের।
তিনি তার এই বক্তব্যের ধোঁয়াশা কাটাতে আরো বলেন এর মানে এই নয় যে একদিনে রাজ্যে 11 জনের করোনায মৃত্যু হয়েছে তিনি বলেন মৃত্যু নিয়ে তৈরি অডিট কমিটি গত 3 এপ্রিল থেকে 30 এপ্রিল পর্যন্ত যারা যারা আক্রান্ত ছিলেন ও মারা গেছেন তাদের মৃত্যুর কারণ অডিট করে এই রিপোর্ট দিয়েছে।
এখন প্রশ্ন তাহলে রাজ্যে কতজন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে ? এই প্রশ্নের উত্তরে মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা জানান এই পর্যন্ত রাজ্যে 105 জন করোনায আক্রান্ত ছিলেন যাদের মৃত্যু ঘটেছে। তবে অডিট কমিটি তার মৃত্যুর তদন্ত করে করোনায মৃত্যুর সংখ্যা 33 জন জানিয়েছে। তাহলে বাকিদের কি করোনা ছিল না? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান বাকিদেরকরোনা ছিল কিন্তু তাদের মৃত্যুর অন্যান্য রোগের কারণে হয়েছে বলে অডিট কমিটি জানিয়েছে।
মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা জানান 105 জনের মধ্যে 72 জনও করোনায সংক্রমিত ছিলেন কিন্তু তারা আগে থেকেই জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন তাই চিকিৎসকরা তাকে তার হিস্ট্রি ও তাদের টিকিট সহ তাদের রিপোর্ট সবকিছু তদন্ত করে জানিয়েছেন তাদের মৃত্যু হয়েছে অন্যান্য কারণে।
উল্লেখ্য গত সপ্তাহে 24 এপ্রিল এ কেন্দ্রীয় কমিটি এ রাজ্যের কাছে করোনা রোগের তালিকা ও মৃত্যু নিয়ে তথ্য জানতে চাইলে এই মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন যে রাজ্যে করোনায আক্রান্ত 57 জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে করোনায মৃত্যু হয়েছে 18 জনের। 39 জনের মৃত্যু হয়েছে অন্যান্য অসুখের কারণে।
24 এপ্রিল থেকে 30 অপ্রিল আসতে না আসতেই মুখ্যসচিব নতুনবার্তা শোনালেন। তিনি এবার বললেন রাজ্যে 105 জন করোনায় আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু অডিট কমিটি তাদের রিপোর্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ব্যাকস্ট্রিট জেনে জানিয়েছে এতে 33 জন করোনার কারণে মারা গেছেন বাকিরা অন্যান্য কারণে।
এখন প্রশ্ন এমনভাবে রাজ্য সরকার করোনা মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বয়ান দিচ্ছে কেন ? কেন তথ্য নিয়ে এত কারচুপি ? সারাদেশ যখন করোনা রোগীর সংখ্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন , তখন বাংলা করোনা মৃতদের সংখ্যা লোপাট করতে চাইছে কেন?
রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা এবার জানিয়েছেন যে আর এই অডিট কমিটি কাজ করবেনা। এখন থেকে কোন মৃত্যু নিয়ে আইসিএমআর গাইডলাইন মেনে স্বাস্থ্য দপ্তর রিপোর্ট দেবে অডিট কমিটি নয়। অর্থাৎ আগের মতন ভাবে ডাক্তারবাবুরা তাৎক্ষণিক মৃত্যুকালীন কারণ নিয়ে রিপোর্ট লিখবেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের গাইডলাইন মেনে রোগীর মৃত্যু সার্টিফিকেট দেবেন।