অবতক খবর,১লা ফেব্রুয়ারি: রাত্রি ঘনায়মান হলে অন্য রাত্রি নেমে আসে ঝুঁকি নেয় কাঁচরাপাড়া শহর।
আবার বুঝি কাঁচরাপাড়ায় ঝড় ওঠে, হয়ে ওঠে তেজবানদের গড়।
মুক্তি যুদ্ধের হাওয়া আছড়ে পড়ে দুর্মর।
তমিস্রা রাত্রি দুর্জয় হয়, দুর্বার হয়।
দুর্ধর্ষ যুবকেরা নেমে পড়ে রাস্তায় প্রকাশ্য লড়াইয়ে,এ যুদ্ধ, অন্যযুদ্ধ—আক্ষরিক জেহাদ।
তোলে স্লোগান, দূর হটো ভোটবাজ ধড়িবাজ।
রাজনৈতিক ধান্দাবাজরা যখন একই ইস্যুতে সোল্লাসে চেল্লায়,
যুবকেরা বুঝে যায় ওরা আছে ভোটের ধান্দায়।
ভোট কোন পক্ষে যাবে পড়ে গেছে দ্বিধায়।
কারণ মানুষকে পণ্য করে ওরা নো এনআরসি, নো এনপিআর,নো সিএএ হকারি করে বাঁচতে চায়।
এই দেশে সব হয়।
দেশমাতৃকা যখন পণ্য হয় তখন শব্দ বর্ণ নিয়েও সওদা হয়।
যুবকেরা বোঝে দুর্ধর্ষ হয় আরো,
রংয়ের বালতি ব্রাশ হাতে, স্লোগান তৈরি করে হয় জড়ো।
সব নদী সাগরে মেশে,
সব সংস্থা এক হয়ে নাগরিক উদ্যোগে আসে।
নৈশ অন্ধকারের সঙ্গে আসে রঙের জোয়ার,
তারা দীপ্ত শপথে অঙ্গীকার ভাঙতেই হবে এই শোষণের খোঁয়াড়।
স্তব্ধতার ভিতর যেমন বাড়তে থাকে সামুদ্রিক জোর,
রাস্তার অ্যাসফল্ট রঙে ভেজে, নো এনআরসি, নো এনপিআর, নো সিএএ — লেখা হয় বিশাল বিশাল অক্ষর।
চেয়ে থাকে বিস্তৃত জনপদ— বাগমোড় থেকে থানামোড়।
বাগমোড়ে দাঁড়িয়ে থাকে যোদ্ধা রানী রাসমণি।
এখানেই শুরু হয় অক্ষর লিপির আগমনী।
তারপর রবীন্দ্র পথ জুড়ে নাগরিকত্বের পথলিপি লিখে অক্ষর এগিয়ে চলে স্বাধীনোত্তর ভারতের প্রথম শহীদ গান্ধীকে সাক্ষী রেখে লেনিন সরণির দিকে।
অক্ষরের জেহাদি চেতনায় উজ্জ্বল হয় ভোর।
তখন পূর্ব দিক থেকে ছুটে আসে বাতাস।
স্লোগান তোলে, আই এম নট অ্যালোন, উই আর মোর এন্ড মোর।