অবতক খবর,৯ আগস্টঃ রোগীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ায় গুরুতর অসুস্থ রোগী। এমনই গুরুতর অভিযোগ মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল স্বাস্থ্য কর্মীদের বিরুদ্ধে ।ঘটনার সত্যতা স্বীকার মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালের বি এম ও এইচ। তদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
রোগীর নাম তাহেরুন্নেসা বেগম। বয়স ৭০ প্রায় ।বয়সজনিত রোগে বেশ কয়েক মাস ধরেই ভুগছিলেন তিনি। পিঠ ও ঘাড়ে ব্যাথা নিয়ে তার কাহিল অবস্থা। গত সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎই বৃদ্ধার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তড়িঘড়ি তার পরিবারের লোকেরা তাকে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে নেওয়া হয় বৃদ্ধাকে। কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে বৃদ্ধা কে স্যালাইন ও অক্সিজেন দেওয়া হয়। অভিযোগ বৃদ্ধা রোগীর দেহে চিকিৎসার জন্য যে স্যালাইন প্রয়োগ করা হয় তার মেয়াদের তারিখ প্রায় ছয় মাস আগে পেরিয়ে গেছে। যে ডি ফাইভ স্যালাইন রোগীকে প্রয়োগ করা হয়েছিল তার মেয়াদের তারিখ ছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অর্থাৎ মেয়াদ পার হওয়া প্রায় ছয় মাস হয়েছে। অভিযোগ এই স্যালাইন দেওয়ার পরেই রোগীর অবস্থা আরো অবনতি হতে শুরু করে ।
রোগীর পরিবারের লোকজনদের সন্দেহ হয় ।তারা লক্ষ্য করেন স্যালাইনের মেয়াদের তারিখ ৬ মাস আগে পেরিয়ে গেছে। রোগীর পরিবারের লোকজন এই বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকে অভিযোগ জানান। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন মানিকচকের বি এম ও এইচ অভিক শংকর কুমার। মেয়াদ পেরোনো স্যালাইন যাতে দেহে অনুরূপ বিষক্রিয়া ঘটাতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। তবুও বৃদ্ধা রোগীর অবস্থা র আরো অবনতি হতে শুরু করে। তড়িঘড়ি বৃদ্ধাকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়।রোগীর পরিবারের তরফ থেকে মানিকচকের বি এম ও এইচ কে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এই বিষয়ে মানিকচকের বি এম ও এইচ অভিক শংকর কুমার জানান,অভিযোগ পেয়েছি ।এই বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।