জীবন বিধৌত কলরব অনাহার,মহামারি, সাম্প্রদায়িকতা, জীবন,সংগ্রাম তোমার লেখায়–
তুমি হাসান আজিজুল হক।
রোদে যাবো
তমাল সাহা
কত ধুলো কত মাটি
মেখেছিলে তুমি রাঢ় বাংলার!
এতো মানুষ কেন উঠে আসে
তোমার দেখায়?
জীবন! জীবন! জীবন লেখো তুমি
পাতায় পাতায়।
আগুনপাখি হয়ে আকাশ করো পারাপার।
নকল বেড়া তুচ্ছ হয়ে যায়
ভেঙে পড়ে সীমান্তের কাঁটাতার।
শকুনদের প্রকৃতি চরিত্র তুমি জানো
তবুও সমুদ্রের স্বপ্ন শীতের অরণ্য
তোমার চোখে
মা মেয়ের সংসার-এ ঢুকে পড়ো
বিধবারা কথা বলেছিল কোনোদিন
তোমার সাথে।
এতদিন তো জানতাম
পাথরে পাথর ঠুকে আগুন জ্বলে,
জীবন ঘষে আগুন! এ কিভাবে সম্ভব
তোমার লেখা সেসব কথা বলে।
সারাদুপুর কেটে যায়
কেউ আসেনি
তাহলে কি তুমিও বাইরে যাওনি!
আত্মজা ও একটি করবী গাছ–
তুলে ধরে তোমার লেখনি।
তুমি কি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠো
একাত্তরে করতলে ছিন্নমাথা
সরল হিংসা– হিংসাও জটিল সরল?
ভূষণের একদিন
অতলে পাখির কোলাহল!
মাটির তলার মাটিতে কি খুঁজে পাও
পাতালে হাসপাতালে
আমরা অপেক্ষা করছি কেন তুমি জানো তা
রোদে যাবো–বলে
লিখে গেলে আলোড়ন ছড়িয়ে
খুঁজে পাই অপূর্ব নির্মাণ– গদ্যময়তা।