অবতক খবর, ১ আগস্ট : বীজপুর অর্থাৎ কাঁচরাপাড়া-হালিশহর অঞ্চলের স্থানীয় প্রশাসন,বীজপুর থানা প্রশাসন কাঁচরাপাড়া এবং হালিশহর পৌর প্রশাসন আলোচনা সভা করে এটাই স্থির করেছিলেন যে,২৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কড়াকড়িভাবে লকডাউন চলবে। করোনা সংক্রমণ রোধে তারা যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছিলেন এবং এই কড়াকড়ি লকডাউন হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বড় বড় ওয়াদা করা হয়েছিল যে, এই দুই পৌরসভা অঞ্চলে লকডাউন চলাকালীন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে, রাস্তাঘাটে,বাজারহাটে স্যানিটাইজেশনের প্রক্রিয়া চলবে।
কিন্তু তার কিছুই হয়নি। তবে কি তারা শুধু খাতা-কলমেই ওয়াদা করেছিলেন?
প্রশাসনের এই নিষ্ক্রিয়তা দেখে ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃত্বরাও অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তারা জানান, এইরকম প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল এবং পার্থ ভৌমিক নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু কেন তা হল না তা কেউ জানে না এবং এখনও পর্যন্ত পৌরসভা কি ব্যবস্থা নিয়েছেন এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা। তবে পৌর নাগরিকদের স্বার্থে করোনা প্রতিরোধ করার জন্য এই স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া অত্যন্ত জরুরি ছিল।
বলা হয়েছিল এ ব্যাপারে দমকল বিভাগ সহযোগিতা করবে। কিন্তু এই ব্যাপারে কোনরকম কার্যকরী ভূমিকা নিতে প্রশাসনকে দেখা যায়নি।
অথচ চন্দন রায় নামে এক যুবক যে কিনা সামান্য এক কাবাডি ব্যবসায়ী,সে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং জনস্বার্থে লকডাউনের প্রথম থেকেই স্যানিটাইজেশনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। যেই কাজের কথা ঘোষণা করেও প্রশাসন বাস্তবায়ন করতে পারলেন না, জনসাধারণের কাছে ওয়াদা করেও যা হয়নি, সেটা শহরের একজন সাধারণ যুবক ব্যক্তিগত উদ্যোগে করে দেখাল। এটি নিশ্চিতভাবেই প্রশাসনের লজ্জা!
চন্দন রায় একজন সমাজসেবী। সে নিজের সামান্য আয়ের উপর ভিত্তি করে জনসেবামূলক কাজ করে থাকে। এইবারও সে কাঁচরাপাড়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড,কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অর্থাৎ ব্যবসায়ী অঞ্চল গান্ধীমোড়, মন্ডল বাজার, থানামোড় এবং সংলগ্ন অঞ্চলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্যানিটাইজেশন করল।
এই কাজের জন্য স্বর্ণ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কাঁচরাপাড়ার ব্যবসায়ী মহল চন্দন রায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এর পাশাপাশি তারা প্রশাসনের ভূমিকায়ও অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।