অবতক খবর,মালদা: লক্ষ লক্ষ টাকার তছরুপের অভিযোগ উঠলো হর্টিকালচার প্রকল্পের তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের সদস্যা সহ প্রধানের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকবার এমনই অভিযোগ উঠে আসছে মালদা চাঁচল ১ নং ব্লকের ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। তবে আর সুরাহা হয়নি বলে দাবী অভিযোগারীদের। ঘটনাস্থলে প্রশাসন অাধিকারিকদের পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন ।
সম্প্রীতি ১০০ দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে কলা চাষের জন্য পঞ্চায়েত এলাকায় চাষীদের স্বনির্ভর করার জন্য দেওয়া হয়েছিল দেশী কলা চারা। যার প্রতিটি স্কীম বিঘা প্রতি ৩,৪৯৭৭৮ বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। তবে তা রক্ষনাবেক্ষন সহ জৈব সার ও শ্রম দিবসের অর্থ ধার্য্য করা হয়ে থাকে বলে পঞ্চায়েত সূত্রে খবর।
শ্রম দিবসের মজুরি পেয়েছে তবে তা স্বল্প বলে দাবী উপভোক্তাদের। উপভোক্তাদের স্কীম থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা অন্য জব কার্ডে ঢোকাচ্ছে বলে অভিযোগ। উপভোক্তারা বরাদ্দকৃত থেকে বঞ্চিত রয়ে যাচ্ছে । শ্রম থেকে শুরু করে যাবতীয় কলা চাষের সার ও নিড়ানি খরচের নগদ পাচ্ছেন না তারা। যার দরুন কলা চারার দৈর্ঘ্যও হচ্ছে না।
এক বিঘা জমিতে চাষ করেছিলেন হরিপুর বুথের হাসি বিবি ও মাসুদা বিবি। তাদের স্কীমের টাকা তছরুপ করেছেন বুথ মেম্বার বেনজির খাতুন ও প্রধান সাবিনা পারভিন বলে অভিযোগ। এনিয়ে সোমবার দুজন উপভোক্তা চাঁচল ১ নং ব্লক দপ্তরে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে বিডিও সমীরণ ভট্রচার্য ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস ও দেন। আর্থিক তছরুপ প্রমানিত হলে দূর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
সরকারি নিয়মে জব কার্ডে ক্রমীক অনুযায়ী উপভোক্তারা তাদের বাবদ পেয়ে যাচ্ছেন। ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ বলে দাবী করেছেন সদস্যা বেনজির খাতুন। আমার পঞ্চায়েত স্বচ্ছ ও দূর্নীতি মুক্ত। রাজনৈতিক চক্রান্ত চালানো হচ্ছে । উপভোক্তাদের শ্রম মজুরী তারা পেয়ে যাচ্ছেন। অন্যান্য উপভোক্তাদের চাষও খুব সুন্দর হয়েছে। তাদের উৎসাহ দিয়ে পঞ্চায়েতকে বদনাম করার জন্য কোনো রাজনৈতিক দল বিডিও অফিসে অভিযোগ করাতে বলছেন বলে দাবী প্রধান সাবিনা খাতুনের।