অবতক খবর,২৮ জানুয়ারি: করোনা পরিস্থিতির কারণে দুয়ারে সরকার এবং লক্ষীর ভান্ডারের কাজ স্থগিত থাকলেও শান্তিপুর চড়কতলা এলাকার প্রশান্ত পালের ছোট্ট পানের দোকানে দুয়ারে সরকার এবং লক্ষীর ভান্ডারের জন্য ভিড় জমাচ্ছে ক্রেতারা। স্বজনপোষণ বা দুর্নীতি কোনটাই নেই তবে যেকোনো পরিষেবা কিনতে ব্যয় করতে হচ্ছে মাত্র পাঁচ টাকা। আর ক্রেতা হিসেবে যারা আসছে তারা প্রত্যেকেই খুদে। বিশ্বাস হচ্ছে না তো?
তাহলে এবার খোলাসা করেই বলি। ইদানিং প্যাকেট বন্দি হাওয়া ভর্তি আলুর চিপস বিভিন্ন ধরনের পাপড় ভাজা মসলা সহযোগে মুখরোচকের বাড়বাড়ন্ত। স্থানীয় ব্যবসাদারদের সুকৌশলে লক্ষ্মী আমদানি করতে সরকারি এই দুটি অতি জনপ্রিয় প্রকল্পের নাম এবং তার মধ্যে নিশ্চিত বিভিন্ন ছোট খাটো উপহারের জন্য হটকেকের মতো বিকোচ্ছে বিভিন্ন দোকানে। লক্ষীর ভান্ডার পাপড় ভাজা কিনলেই প্যাকেট বন্দি নগতলক্ষী এক টাকা দুই টাকা পাঁচ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে দুয়ারের সরকার কিনলে প্যাকেটের মধ্যে শিশুদের নামাজ ছোট খেলনা, চুলের ক্লিপ, রং পেন্সিল রাবার নানান আকর্ষণীয় উপহার।
শান্তিপুর চড়কতলা প্রশান্ত পাল তাঁতের অবস্থা খারাপ হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পানের দোকান করবেন, দীর্ঘ লকডাউনে সেই ইচ্ছাও পূর্ণ হচ্ছিল না তবে বর্তমানে দুয়ারের সরকার এবং লক্ষীর ভান্ডার বিক্রি করে দুবেলা দুমুঠো ভাত জোগাড় করতে পারছেন বৃদ্ধ বাবা-মা এবং দুই দাদা ভাইয়ের পরিবার নিয়ে। তবে প্রশান্ত বাবু দুয়ারে সরকার লক্ষী ভান্ডার বিক্রি করলেও সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ বাবা মা এখনো বার্ধক্য ভাতা পাননি, নিজের বিবাহ না হলেও বৌদির লক্ষীর ভান্ডার কিন্তু শূণ্য।