কথাশিল্পী তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়েরপ্রয়াণ দিবস আজঃ শ্রদ্ধা
২৩ -২৪ মার্চ,১৯৬৩ দুদিন ব্যাপী জেলা সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল কাঁচরাপাড়া বেল ইনস্টিটিউটে। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় অতিথি হিসেবে এসেছিলেন। প্রকাশিত স্মারক সংখ্যায় তিনি লিখেছিলেন একটি প্রবন্ধ ‘সাহিত্যের নব রাগিণী’ । এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। পত্রিকাটির নাম সংস্কৃতি।
লাল মাটির মানুষ রে!
তমাল সাহা
মানুষ মানুষকে দেখলে
এত সুখ পায় চোখে ও মনে?
জীবন এত ছোট কেনে?
কালো যদি মন্দ তবে
কেশ পাকিলে কান্দ কেনে?—
বাক্য দুটি প্রবাদ হয়ে গেলে
তাকে দেখি চোখের সামনে।
নিজের চোখে দেখেছি তাকে
পঞ্চগ্রাম, হাঁসুলি বাঁকে।
তোমার কাছারির দেউড়িতে হে বসে আছি
তুমি ছিলে মানুষের বড় কাছাকাছি।
সাঁওতাল, বাগদি,বাওড়ি কবিয়াল, বেদেনি, ডোম— সশব্দে হেঁটে যায়।
সামন্ততান্ত্রিক শোষণ ভেঙে পড়ে,
ভেঙে পড়ে গ্ৰামীণ চালচিত্র–
তুমি সাজিয়েছো এদের আক্ষরসজ্জায়।
তোমার শব্দতূণ থেকে ছুড়ে দিয়েছো একেকটি বাণ…
গণদেবতার জাগরণ ঘটিয়
ধাত্রীদেবতাকে সামনে তুলে ধরেছো
নিঃশেষ করেছ মানবতার অপমান।
তুমি তো কত মানুষ চেনো,
চিনিয়েছো আমাদের লাল মাটির মানুষ
শ্রম ঘাম মেহনতের কারবার—
পটুয়া,মালাকার,লেঠেল, চৌকিদার।
করেছো পতিত মানব জমিন আবাদ।
তোমাকে কি জানাবো আজ
স্বাগতম, না আদাব!