অবতক খবর, রাজীব মুখার্জী, হাওড়া :- চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বেলুড় থানার অন্তর্গত লিলুয়া রেল ওয়ার্কশপে। ওই ওয়ার্কশপে কর্মরত এক রেল কর্মচারী জিয়াউল হক। অভিযোগ সম্প্রতি তিনি হোম লোনের জন্য একটি বেসরকারি লোন সংস্থার কাছে আবেদন করেছিলেন। আবেদন করার পরে তার কাছে ওই সংস্থা থেকে একজন প্রতিনিধি আসেন। তিনি হোম লোনের আবেদন পত্র সহ ক্যান্সেলড চেক নিয়ে যান। ওই দিনই তিনি দেখেন তার স্টেট ব্যাংকের একাউন্ট থেকে প্রায় ৬৮ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। তিনি অভিযোগ করেন যে চেক তিনি ওই প্রতিনিধি কে দিয়েছিলেন তাতে টাটা ক্যাপিটাল ফাইনান্সের নাম লিখে দিয়েছিলেন।

সেই চেক দিয়েই তার স্টেট ব্যাংকের একাউন্টের ক্যাশ কাউন্টার থেকে টাকা তোলা হয়। তার আরও অভিযোগ কেউ ক্যাশ কাউন্টার থেকে ৫০ হাজারের বেশি টাকা একসাথে তুলকে তাকে তার প্যান কার্ড নাম্বার দিতে হয় ও সেক্ষেত্রে ব্যাংক চেক প্রদান করে একাউন্ট হোল্ডারকে ফোন করে জানায়।

 

এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মেনে হয় নি বলেও অভিযোগ করেন প্রতারিত ব্যক্তি। তিনি ঘটনা জানার পরেই বেলুড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার কাছে ঘটনা সম্পর্কিত সমস্ত নথি ও ফোন নাম্বার বেলুড় থানাকে জানান। কিন্তু ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পুলিশ কোনো তদন্ত শুরু করিনি বলেই দাবি করেন জিয়াউল বাবু। তিনি বারংবার থানাতে গিয়ে তার দায়ের করা অভিযোগের খোঁজ নিতে গেলে তাকে নানান তাল বাহানায় কাটিয়ে দেওয়া হইয়াছে বলেই অভিযোগ করেন তিনি। তিনি দাবি করেন ওই ব্যক্তির মোবাইল নাম্বার এখনো সচল আছে তবু ঘটনার সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না এই অছিলায় পুলিশ নিষ্ক্রিয় হজে রয়েছে। এখন তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন আদৌ তার অভিযোগের ভিত্তিতে সঠিকভাবে তদন্ত হবে কিনা। প্রকৃত প্রতারক আদৌ ধরা পড়বে কিনা সেই বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। যদিও এই বিষয়ে বেলুড় থানার তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।