অবতক খবর,১৬ জুলাইঃ শনিবার রাতের ভাঙড়ে আবার নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হল । কাঁঠালিয়ায় যাওয়ার পথে শওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলামদের আটকে দিল পুলিশ। ভাঙ্গরে ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারনে পুলিশি বাঁধার মুখে পড়েন তৃণমূল নেতৃত্বরা।
ভোগালি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পূর্ব কাঁঠালিয়ায় মৃত তৃণমূল নেতার বাড়ি। এই জায়গাটি পড়ে কাশীপুর থানার অধীনে। আর এদিকে কাশীপুর থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সেই যুক্তিতেই পুলিশ শওকতদের তাদের বাড়ি যাওয়ার সময় আটকায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায় । পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন কানিং পূর্বের বিধায়ক। কেন তাঁদের আটকানো হচ্ছে, তা নিয়ে পুলিশকর্মীদের প্রশ্ন করতে থাকেন। শওকত মোল্লা জানান, গত ৭ তারিখ রাতে তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে বেধড়ক মারধর করেছিল দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীরা আইএসএফ সমর্থক বলেই দাবি তৃণমূল বিধায়কের। কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর এদিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয় । তাঁরা দলীয় কর্মীর শেষকৃত্যে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন কিন্তু পুলিশ তাঁদের আটকে দিয়েছে। আরো বলন, ‘আমরা শেষকৃত্যে যেতে চাইছি, তাও পুলিশ যেতে দিচ্ছে না। তাই আমরা এখানে বসে প্রতিবাদ করছি। পরিবারের লোকেরা বলছে, আমরা নাগেলে শেষকৃত্য তারা করবেননা।’
ভাঙড় ব্রিজের কাছে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। প্রতিবাদে গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় বসে পড়েন শওকত মোল্লা , আরাবুল ইসলাম সহ গোটা তৃণমূল নেতৃত্ব । তৃণমূল বুথ সভাপতি শেখ মোসলেমের বাড়িতে তাঁর মৃতদেহ এসে পৌঁছায়। সেই খবর পেয়ে তাঁর বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন শওকত, আরাবুলরা। শবদেহবাহী গাড়ির পিছন পিছনই যাচ্ছিলেন শওকতরা। কিন্তু মাঝপথেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। শবদেহবাহী গাড়িটি কাঁঠালিয়ার দিকে যেতে দেওয়া হলেও, পিছনেই থাকা শওকতদের গাড়িকে বাধা দেওয়া হয়।