শচীন দেববর্মণকে স্মরণ
শচীন কত্তা
তমাল সাহা
বাঁশি শুনে আর কাজ নাই
সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি—
তা বললে কি হয়!
এখনো তোমার কন্ঠ-বাঁশি
শুনতে পাই
সে তো ব্যতিক্রমী নিশ্চয়।
তাকডুম তাকডুম বাজে…
সে তো তোমার কন্ঠের বোল।
আর এ যে শচীন কত্তা!
যে বাঙালি চিনতে অক্ষম
তার নামে দাও হরিবোল!
এসেছিলে পরশু কাল কেন আসোনি…
আরে তুমি তো রোজই আসো
তুমি কি আমাদের ভালবাসোনি?
বর্ণে গন্ধে ছন্দে গীতিতে
হৃদয়ে দিয়েছো দোলা…
তোমাকে নিয়েই তো বাঙালিয়ানা
আমাদের পথচলা।
শোনো গো দখিন হাওয়া
প্রেম করেছি আমি…
প্রেম ছাড়া আছে কি জীবনে
না পাওয়াতেই তো সে সুখ
সে তো বলে যায় তোমার সুরধ্বনি।
তুমি আর নেই সেই তুমি
হায় কি যে করি মন নিয়া…
সে তো তুমিই জানো
কেন এমন উথাল পাথাল
আমাদের হিয়া।
কে যাস রে ভাটি গাঙ বাইয়া…
কে যায়, কোথায় যায়?
বলো গো শচীন কত্তা
বলো গো শচীন দেববর্মন
তোমার সানুনাসিক উচ্চারণে
কেন এতো মাদকতা কে জানে!
তোমার গানেই আমাদের জীবন মরণ।
সবচেয়ে বড় কথা তোমার সুরের টানে
মানুষের হৃদয় মন্থন
তোমার গানে
মানুষের আমন্ত্রণ ,মানুষকে নিমন্ত্রণ।