অবতক খবর , নদীয়া : যদিও লকডাউন নেই! কিন্তু জেলাজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। নদীয়া জেলায় মোট আক্রান্ত সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার। এমত অবস্থায়ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরাম নেই! গতকালও বিজেপি সিপিএম তৃণমূলের মোট পাঁচটি বিক্ষোভ সভা জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে শান্তিপুরে।
বিশ্বকর্মা পূজো উপলক্ষে শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর অঞ্চলে একটি অর্কেস্ট্রা সহযোগে গানের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ওই অঞ্চলের কিছু পরিবহন শ্রমিক। সেখান থেকেই শান্তিপুর থানার প্রশাসন মাইকের যাবতীয় সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে বলে দাবি করে মাইক লাইট সমিতির পক্ষ থেকে। যথারীতি আজ সকালে সংগঠনের জেলা সভাপতি-সম্পাদকসহ নদীয়া জেলার বিভিন্ন ইউনিটের প্রায় ২০০ জন শান্তিপুরে পৌঁছে বিক্ষোভ দেখাতে উদ্যত হয় শান্তিপুর থানার সামনে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা মাইক সেট ছেড়ে দেয় শান্তিপুর থানা। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী রাত্রি দশটার মধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ওই অনুষ্ঠান, তবুও মাইক সেট বাজেয়াপ্ত করা এবং মালিক কে লকআপে রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই! কারণ হিসেবে তারা জানান অনুষ্ঠানের আয়োজকদের প্রশাসনিক অনুমতি আছে কিনা সেটা তাদের ভুল হতে পারে , কিন্তু এর সাথে জড়িত গায়ক গায়িকা, বাদ্য শিল্পী, ভাড়া দেওয়া লাইক মাইকের কোন দায়বদ্ধতা থাকতে পারে না।
দীর্ঘ লকডাউন এরপর সবেমাত্র কর্মহীন মাইক ব্যবসায়ীদের একটা ভাড়া পাওয়ার সাথে সাথেই প্রশাসনিক এ ধরনের আচরণ নিন্দনীয়। তারা এও জানান অতীতে শান্তিপুর থানার সাথে একটি আলোচনার মাধ্যমে শব্দের তীব্রতা, চোঙ ,বক্সের পরিমাণ এবং মাইক বাজানোর নির্দিষ্ট সময়সীমা তারা মেনেই মাইক বাজাচ্ছেন। আক্ষেপের সুরে বলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেরর জমায়েত বা শব্দ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় না, অথচ আমাদের মত ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের উপর এ ধরনের আঘাত বারেবারে নেমে আসে।