অবতক খবর :: নদীয়া :: শান্তিপুর শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কারিগরপাড়ার সাকিবুল কারিগর এবং মুন্না কারিগর কে গতরাত্রে এগারোটা নাগাদ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাই ওই এলাকারই কিছু দুষ্কৃতী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ওই এলাকার প্রাক্তন ভাইস-চেয়ারম্যান তথা শান্তিপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুলসালাম কারিকরের ছেলে মন্টু কারিগর, এবং তার বন্ধুরা আইদুল কারিগর, হাসেম কারিগর, মাসুম কারিগর, সাবজেক্ট কারিগর, ময়না কারিগর, আসাম আলী কারিগর মইদুল কারিগর, আরিফ কারিগর, আতেক কারিকর এরা সকলে মিলে গতকাল মালঞ্চ মাঠে মঙ্গল কারিগরের অস্থায়ী চায়ের দোকানে এদের উপর হামলা করে।
ওই অঞ্চলে এর আগেও বিভিন্ন রকম তোলাবাজি, মদ্যপান করে এলাকাবাসীর উপর অত্যাচার, বোম বাঁধা ,বারুদ ও বন্দুক সহ নানান অস্ত্রশস্ত্র বিক্রির একাধিক অভিযোগ করেছিলেন এলাকাবাসী। কিন্তু বাবার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পুলিশের হাত থেকে বেঁচে যায়। ঘটনাস্থলে গতকাল রাতেই শান্তিপুর থানার পুলিশ পৌঁছায়, এলাকাবাসীর বক্তব্য অনুযায়ী প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানের নির্দেশে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আজ সকালে শান্তিপুর থানার ওসি সুমন দাস নিজে ঘটনাটির বিস্তারিত তথ্য নিয়ে যান। সাকিবুল এবং মুনা বর্তমানে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর হসপিটালে ভর্তি সাকিবুলের ৬৪ টি সেলাই পারে, এবং মুন্নার ৩২ সেলাই পড়ে বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে। লকডাউন এর মাঝেও এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিষয়টি নিয়ে।
তারা জানায় অবিলম্বে গ্রেফতার না হলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বড় বিক্ষোভে সামিল হবেন তারা। আজকের এই বিক্ষোভ ওই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে এলাকার সাধারণ ব্যবসাদার, মাদ্রাসা কমিটি, এবং সমাজের সকল অংশের মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায় এখনো পর্যন্ত একজনকে আটক করা সম্ভব হয়েছে বাকিদের ধরার চেষ্টা করছে প্রশাসন।