অবতক খবর,১০ এপ্রিল,মলয় দে,নদীয়া:- বাসন্তী দেবীর সাথেই শান্তিপুরে এই প্রথম পুজিত হলেন বগলা মুখী দেবী । শান্তিপুর শহর অন্তর্গত গোবিন্দপুরের সুকান্ত পল্লী অঞ্চলে দিলীপ পালের বাড়িতে এবছরই প্রথম পরিলক্ষিত হলো রাম নবমীর দিনে বগলামুখি মাতার আরাধনা । উৎসবের শহর শান্তিপুরে একের পর এক উৎসবের মাঝে কোথাও বগোলা মুখী মাতৃ আরাধনা পরিলক্ষিত হয় না বলেই বিশেষ সূত্রের খবর । তবে সনাতনী শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা সুত্রে জানা যায় বগলা মুখী বা বগলা হলেন সনাতনী দশমহাবিদ্যা দেব মন্ডলীর অন্তর্গত অন্যতম দেবী । তিনি ভক্তের শত্রু নাশের দেবী বলেই পরিচিত , তার অস্ত্র মুগুর । উত্তর ভারতে তিনি পিতাম্বরী নামেও পরিচিত ।
বগলা মুখী শব্দটি ” বগলা ” অর্থাৎ ধরা এবং মুখ শব্দ দুটি থেকে উৎপন্ন । এই শব্দটির অর্থ যিনি যার মুখ থেকে কোনো কিছুর নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নিতে সমর্থ । বগলা মুখী দেবীর গাত্রবর্ণ সোনালী , ও তার কাপড়ের বর্ণ হলুদ । তিনি হলুদ পদ্মে ভরা অমৃতের সমুদ্রের মাঝে একটি হলুদ সিংহাসনে বসে থাকেন । তার মাথায় শোভা পায় অর্ধচন্দ্র । যদিও দুটি পৃথক বর্ণনার ভিত্তিতে তাকে দ্বিভূজা ও অপরদিকে তাকে চতুর্ভুজাও বলা হয় । এই মূর্তিকে সৌম্য মূর্তি হিসাবে ধরা হয় , বগলা মুখী মাতার দক্ষিণ হস্তে থাকে গদা , এবং অন্যহাতে তিনি শত্রুর জ্বিহা টি টেনে ধরে থাকেন ।
বগলা মুখী মাতৃ মূর্তিকে পিতাম্বরা দেবীও বলা হয় । তিনি মানুষের গুনকে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করাতে পারেন বলে সনাতনী ধর্মালম্বীদের ধারণা । যেমন তিনি বাক্যকে নিস্তব্ধতায় , জ্ঞানকে অজ্ঞানে , শক্তিকে শক্তি হীনতায় , পরাজয়কে জয়ে রূপান্তরিত করতে সক্ষম । তবে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বরানগরে বি টি রোডে এই দেবীর মন্দির পরিলক্ষিত হয় ।