অবতক খবর,২৬ ফেব্রুয়ারি: ভোট প্রচার শেষ হয়েছে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টায়। ২৭ তারিখ নির্বাচন। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সেই কারণে বীজপুর জুড়ে শুরু হয়েছে প্রশাসনের নজরদারি। জায়গায় জায়গায় চলছে পুলিশের নাকা চেকিং। প্রতিটি গাড়িকে চেক করে ছাড়া হচ্ছে।

এ তো গেল প্রশাসনের কথা।

এদিকে নির্বাচনী প্রচার শেষে বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় বলেন প্রতিটি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। প্রতিটি মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দান করতে যাবেন। আর বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই হাঁটবেন। ২৭ তারিখ যাতে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়, প্রতিটি মানুষ যাতে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেদিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন সকলকে। তিনি বলেছেন, তাতে যদি দু-একটি জায়গায় বিরোধীরা জয়লাভ করেন তাতেও কোন সমস্যা নেই। কারণ রাজনীতিতে বিরোধীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিরোধীরা না থাকলে শাসকদের ভুল-ত্রুটি ধরাবে কে?

তিনি আরো বলেন, মানুষ ২০১১ সালের আগে পর্যন্ত যেরকম ভোট দেখেছেন তা এখন আর হয় না। যার প্রমাণ বিগত বিধানসভা নির্বাচন। দলে গুন্ডা বদমাইশদের কোন জায়গা নেই। সর্বোপরি মানুষ এবং মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকবে জনপ্রতিনিধিরা। সেই কারণেই এবার পৌরসভা নির্বাচনে বেছে বেছে শিক্ষিত যুবদের জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। ২০১১ সালের আগে পর্যন্ত গুন্ডা বদমাইশরা টিকিট পেতো। কিন্তু এখন আর তা হয় না।‌কারণ রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হচ্ছে।‌ শিক্ষিত মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে এসে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন। আর আমরাও সেই দিকেই জোর দিচ্ছি। কারণ শিক্ষিত মানুষই পারেন শিক্ষিত সমাজ গড়ে তুলতে। সেই কারণেই হালিশহর ১৪ নং ওয়ার্ডে প্রিকাঙ্কা বিশ্বাস প্রার্থী,যে নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছে। হালিশহর ৭ নং ওয়ার্ডের পারমিতা,যে বি.এড করে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। অন্যদিকে কাঁচরাপাড়া ১৮ নং ওয়ার্ডের রাখী শর্মা,যিনি গ্ৰাজুয়েট। শুধু এই ক’জন নয় যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই শিক্ষিত।

 

সুতরাং ২৭ তারিখ পৌর নির্বাচনে কোনরকম বিশৃঙ্খলা,গন্ডগোল হবে না বীজপুরের কোন জায়গায়।‌প্রত্যেকটি মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।