অবতক খবর,২৪ নভেম্বরঃ শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে দুষ্প্রাপ্য সাদা চন্দন গাছ চুরির অভিযোগ। মর্নিং ওয়াকারস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে হাওড়া সিটি পুলিশ, কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও গার্ডেন কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে কিছু বলতে অস্বীকার করেন।
শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের মধ্যে এক নম্বর নার্সারীর মধ্যে ১০০ বছরের পুরানো একটি দুষ্প্রাপ্য সাদা চন্দন গাছ ছিল। আমপান ঘূর্ণিঝড়ের সময় ওই চন্দন গাছটির ক্ষতি হয়। গাছের উপরের অংশের ডাল ভেঙে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে গাছটি শুকিয়ে যায়। দিন কয়েক আগে থেকে ওই গাছটিকে আর দেখা যাচ্ছে না। গার্ডেনের মর্নিং ওয়াকাদের অভিযোগ অধিকর্তার মদতে কোটি টাকা দামি ওই গাছটিকে কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় গাছটি কাটার পর শিকড় সমেত তুলে নেওয়া হয় এবং ওই জায়গায় সিমেন্ট দিয়ে বাঁধিয়ে দেওয়া হয়। তাদের অভিযোগ কিভাবে কোন টেন্ডার ছাড়াই গাছটিকে কেটে বিক্রি করে দেওয়া হল ? ডেইলি মর্নিং ওয়াকার অ্যাসোসিয়েশনের আরো অভিযোগ এর আগে একটি দামি এবং দুষ্প্রাপ্য মেহগনি গাছ একই কায়দায় কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এই নিয়ে হাওড়া আদালতে মামলা চলছে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে গার্ডেন কর্তৃপক্ষ, কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রী, বোটানিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর এবং হাওড়া সিটি পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে আরও বলা হয় এ ব্যাপারে তারা শীঘ্রই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে সিবিআই তদন্তের দাবি নিয়ে।
এদিকে চন্দন গাছ চুরি নিয়ে হইচই শুরু হতেই গার্ডেন কর্তৃপক্ষ গেটে একটি নোটিশ টাঙিয়ে দেয়। তাতে বলা হয়েছে কেউ ফুল , গাছের ক্ষতি বা বাগানের ক্ষতি করলে মোটা অংকের টাকা জরিমানা দিতে হবে। শুধু তাই নয় ভিডিওগ্রাফি করলে এক হাজার টাকা জরিমানা। এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ কার নির্দেশ এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে সেখানে কোন আধিকারীকের কোন সই নেই। সাধারণ মর্নিং ওয়াকাররা এটিকে ভালো উদ্যোগ বলে মনে করলেও অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মনে করছেন তারা যাতে কোন কিছু ছবি তুলতে না পারেন সেই কারণেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাগানের মধ্যে গাছ চুরির ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করার জন্য এসব করা হচ্ছে। শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রায় চোদ্দোশো প্রজাতির গাছ রয়েছে। প্রত্যেকটি গাছের বর্ণনা কম্পিউটারে নথিভুক্ত আছে। তাই গাছ চুরি আগেই অফিসারদের নজরে আসার উচিত ছিল বলে মনে করছেন প্রাতঃ ভ্রমণকারীরা। এদিকে গার্ডেনের জয়েন্ট ডিরেক্টর দেবেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন তিনি এই মুহূর্তে কোয়েম্বাটরে আছেন । কি হয়েছে তিনি বলতে পারবেন না। গার্ডেনে ফিরে আসার পর সবকিছু দেখে শুনে তিনি বলতে পারবেন।