অবতক খবর, শিলিগুড়ি: অভাবের তাড়নায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়া, সকাল থেকে ঘুরে ঘুরে দু’মুঠো অন্ন জোগাড়ের চেষ্টা। দ্রব্যমূল্যের বাজারে সংসার চালাতে হিমশিম মধ্যবিত্ত। কাটছাঁট করে দিনযাপন করছেন উচ্চবিত্তরাও। আর দরিদ্রদের যে কি হাল তা দরিদ্ররাই জানে। অন্ন বস্ত্র বাসস্থান নিয়ে হিমশিম অবস্থা সমাজের একটা অংশের। প্রতিদিন কাজের আশায় বাড়ি থেকে বের হন অনেকেই। কিন্তু কোথায় কাজ। শ্রমিকদের কোনদিনও কাজ জোটে কোনদিন জোটেনা। অভাবের তাড়নায় মাথা নিচু করে বাড়ি ঢুকে যায় শ্রমিক। দ্রব্যমূল্যের বাজারে দু’মুঠো অন্নের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় জিনিস গুলির মধ্যে আলু, পেঁয়াজ, লবণ অন্যতম।
ডিজিটাল দুনিয়ায় এই সমস্ত জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে হু হু করে। আলু ৩০-৪০, পেঁয়াজ ৯০-১০০, লবণ ২০-৩০ টাকা। পেঁয়াজের ঝাঁজে নয়, পেঁয়াজের জন্য বাঙালির চোখে জল এসেছিল দাম নিয়ে। পেঁয়াজ নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল হয়েছিল। লাভ হয়নি কিছুই। এখনো বাজারে পেঁয়াজ সেঞ্চুরি করে বসে আছে।
আর ওই বহুমূল্য পেঁয়াজ প্রায় দুই কেজি বস্তা থেকে চুরি করে ধরা পড়ে যায় এক কিশোর।এরপর খবর দেওয়া হয় তার পরিবারকে। তবে মানবিকতা বলে একটা শব্দ এখনও সমাজে আছে। আর সেই কারণেই হয়তো যে ব্যবসায়ীর পেঁয়াজের বস্তা থেকে প্রায় ২ কেজি পেঁয়াজ চুরি গিয়েছিল, তিনি চুরিতে অভিযুক্ত ওই কিশোরকে মারধরও করেননি এবং পুলিশেও লিখিত অভিযোগ করেননি।
লোকজনের ভিড় দেখে হাউমাউ করে কেঁদে দেয় ওই কিশোর। দীন দরিদ্র ওই কিশোরের বাড়ি মাটিগাড়া এলাকায়। খবর পেয়ে ছুটে আসে কিশোরের পরিবারের লোকজন। তবে সত্যি অবাক কান্ড, যে ব্যবসায়ীর পেঁয়াজ চুরি গিয়েছিল সেই ব্যবসায়ী আর অভিযুক্ত ওই কিশোরের থেকে খোয়া যাওয়া পেঁয়াজ ফিরিয়ে নেন নি মানবতার খাতিরে।