অবতক খবর , সংবাদদাতা , আসানসোল :- শিল্পাঞ্চল এর বিভিন্ন কয়লা খনি গুলিতেই চুরি রুখতে এবার কয়লা মন্ত্রকের নির্দেশে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর , সব জেনারেল ম্যানেজার ও নিজস্ব নিরাপত্তা বিভাগের কাছে কাঁদানে গ্যাসের মত বোমা এবং রাবার বুলেটের বন্দুক দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। ইসিএলের কয়লা খনি থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণে কয়লা চুরি হয়। চুরি করতে আসে একটা বড় অংশ মহিলা ও শিশু। এই চুরি রুখতে ইসিএল এবার ব্যবহার করবে কাঁদানে গ্যাসের বোমা। এটি ফাটলে চোখ মুখ জ্বালা করবে ,খনির ভিতর থেকে বের হতে বাধ্য হবে চোরের দল। নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে যে বন্দুক , সেটি চোর তাড়াতে কাজে আসে না। তাই তাদের হাতে তুলে দেওয়া হল রাবার বুলেট ছড়ার বন্দুক। সংসদ বিষয়ক স্থায়ী কমিটি ও সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে এস ও পি তৈরি হয়েছে। ৩৭ পাতায় এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে নজরদারির জন্য ইসিএলের অধীনস্থ কয়লা ডিপো গুলিতে সিসিটিভি লাগাতে হবে। ব্যবহারকারীর ট্রাক ও ডাম্পের জিপিএস ব্যবহার করতে হবে। ECL এর সদর দপ্তর থেকে বোঝা যাবে কোথায় কয়লা ট্রাক যাচ্ছে এবং তাতে কত পরিমান কয়লা আছে।
গত দু’বছরে ইসিএলের খোলা মুখ খনি থেকে প্রচুর পরিমাণে কয়লা চুরি হয়েছে। এস ও পি তে বলা হয়েছে ,ভবিষ্যতে যদি চুরি হয় তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবেন এরিয়া জেনারেল ম্যানেজার এবং দায়ী করা হবে খনি ম্যানেজার বা এজেন্ট কেউ। সিআইএসএফ আধিকারিক, নিরাপত্তা আধিকারিক থানায় এফআইআর দায়ের করতে পারবেন, এফ আই আর কেমন হবে তাও বলা হয়েছে এস ও পি তে। থানা যদি অভিযোগ না নেয় তাহলে সরাসরি আদালতে মামলা রুজু করা যাবে বলে জানানো হয়েছে এ দিন। যেসব জমির ওপর মালিকানা নেই অথচ জমির নিচে কয়লা আছে সেখানে অবৈধ খনন হলে মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে সরাসরি অভিযোগ দায়ের করতে পারবে ।ইসিএল যদি মনে করে অবৈধ খনন বন্ধ করা যাচ্ছে না , তাহলে হাইকোর্টে ও মামলা দায়ের করতে পারবে।