অবতক খবর,১০ সেপ্টেম্বর,বালুরঘাট: “শীত-গ্রীষ্ম- বর্ষা ” ” মাথাল” টুপিই কৃষকদের চাষের সময় একমাত্র ভরসা। কিন্তু সে টুপি যদি হয় কুল কুল – ঠান্ডা ঠান্ডা তাহলে তো কৃষকদের কাজের দিশাটাই পালটে যাবে।
হ্যাঁ, এমনি এক সোলার চালিত নয়া টুপি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরাম থানার বাউল এলাকার মল্লিকপুরের বাসিন্দা সুকুমার চক্রবর্তী।

গনগনে সূর্যটা আগুন ঢালছে যেন। ফাঁকা মাঠের মধ্যে সবজিখেত। কোথাও একটু ছায়া নেই। প্রখর রোদে দরদর করে ঘামছেন কৃষকরা এ চিত্র আমরা হামেশাই দেখে থাকি গ্রাম বাংলার প্রতিটি প্রান্তরে।

জমিতে চাষ করার সময় রোদ ঝড় জল বৃষ্টি থেকে বাঁচতে কৃষকদের একমাত্র ভরসা থাকে বাশের কঞ্চি আর শালপাতা দিয়ে তৈরী “মাথাল” টুপি। কিন্তু সেই ট্রাডিশনাল মাথাল টুপিতে ঝড় জলের হাত থেকে মাথা বাচানো গেলেও তীব্র রোদের গরমের হাত থেকে নিজেদের ঠান্ডা রাখতে পারেন না।ফলে অল্পতেই ঘেমে নেয়ে কাজ ফেলে রেখে বাড়ি মুখো হতে হতো।কিন্তু সুকুমার মুখার্জীর তৈরি এই টুপি তাদের সেই গরমের হাত থেকে যেমন বাচাবে।পাশাপাশি এর সাথে কৃষক বিষ মাঠে ছড়ানোর স্প্রেমেশিনও আগামী দিনে চার্জ করে নিতে পারবে চার্জারের মধ্যমে।

কৃষকদের এই রোদ বৃষ্টি আর প্রখর সুর্য্যের উত্তাপ থেকে ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল রাখতে নিজের উদ্বভাবনী মেধা দিয়ে সোলার টুপি বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন পেশায় মটর সাইকেল মেকানিক সুকুমার চক্রবর্তী।
এর আগে নানান ছোটখাট গৃহস্থলির কাজের জিনিষ তৈরী করলেও বড় ধরনের কোন কাজ তার এই প্রথম। বিশেষ করে হাল্কা অথচ শক্তপোক্ত এই সোলার চালিত পাখা সমেত টুপি তাকে কৃষক বন্ধু হিসেবে জেলায় সুখ্যাতি এনে দিয়েছে। তাই তার নতুন উদ্বভাবনী টুপি দেখতে ভীড় জমাচ্ছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কৃষিজীবি মানুষ।